লেখক
মো: মিজানুর রহমান সরকার
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, #গল্প , #কবিতা # কালেকশন বাই মো: জালাল উদ্দিন, বি,এসসি,(গণিত, পদার্থ বিদ্যা,রসায়ন বিদ্যা), বি,এড।ব্যাংকার।
মেজাজটা তার কেমন ছিল প্রমান দিব আজ,
রাগের জ্বালায় গামছা ছিড়ল, পড়ল মাথায় বাজ।
মাছ পছাল, দু'ঘন্টা গড়াল, করল কত আড়ি,
মুখ খারাপে মার খেল, চলে গেল বাপের বাড়ি।
রাগ করে ভাত না খেয়ে দিন তার গেল,
তারপর ওষুদ খেয়ে, হস্পিটালে যেতে হল।
নিত্যদিনে ছেলে মারা, সংসারের সব কাজ করা
দু দুটো গ্লাস ভাংল, বুঝলাম না তার রাগ ঝাড়া।
গায়ে পানি ঢালা, ডিম ভাংগা চলছে এখনো
কবে তার রাগ যাবে, আল্লাহ জানে ভালো।
মৃত্যু নিশ্চিত জানি সবাই,
সব কিছু তাও কেন ভুলে যাই।
আল্লাহর সৃষ্টি মৃত্যু ও জীবন,
ভালো কাজের পুরস্কার আল্লাহ দিবেন।
জীবন দিলেন জীবন নিলেন,
পরকালে আবার ফিরিয়ে পাবেন।
ভালো মন্দের হিসাব হবার পর,
বেহেশত ও দোযখ হবে ঘর।
ভাই বন্ধু আত্নীয় স্বজন,
চলে যায় এক একজন।
বাবা-মা গেল, ভাই -বোন গেল,
জাকির রেজা মৃত্যুর স্বাদ তারাও পেল।
তোমার আমার ডাক আসবে যখন,
সব ফেলে যেতে হবে তখন।
বেহেশতে যদি যেতে চাই ভাই,
ভালো কাজের মজুদ গড় তাই।
সময়ের বিবর্তনে কত কিছু মনে পড়ে,
তুমি দুষিলে আমায়,আঘাত দিয়ে আমারে।
আমি বলেছি তোমায়, আমি ভুল করিনি হায়,
কে শোনে কার কথা, কথার বানে আমাকে ভাষায়।
আজ একটু বোঝানোর চেষ্টায় অনেক কথা,
অবশেষে আমার বোঝানোর চেষ্টা সব গেল বৃথা।
আমি বলেছি পরিকল্পনার কথা তুমি বোঝনি,
বলেছি ভাজা মাছটি শেয়ারে খাই তাও বোঝনি।
আমি মানসিক কষ্ট নিয়ে উপস্থিত, পালিয়েছ তুমি,
লজ্জা, ঘৃনায়,ক্ষুধামন্দায় ক্লান্ত,তবু্ও উপস্থিত আমি।
অবশেষে যখন আমি খুব ক্লান্ত, অসুস্থ মৃত প্রায়,
বুঝেছিলেন অই বুড়ো বাপ, আর কেউ ত নয়।
সে যাত্রায় মোর বেচে গেল প্রাণ অল্পের জন্য,
দোয়া রইল বাপের রুহে, আমার জীবন ধন্য।
কথায় আছে- ,শেষ ভালো যার সব ভালো তার ।
পেয়েছি যোগ্য উপ-মহাব্যবস্থাপক বিদায় বেলার ।
অফিসের কাজ, কম্পিউটার শেখা,
ধর্মে প্রেরণা দিয়েছে যারা,
রেজাউর, আক্তার, হাবীব, নজরুল স্যার
আরও অনেক সহকর্মীরা।
আমি আছি আজ সংগে তাদের
আগামী কাল আর থাকব না,
তারা যে আমার কত কাছের ,
বলে তা শেষ করতে পারব না।
অবসর শেষে গেছে, একাকিত্ত এসে,
আর নাই কর্মে ,লেগে পড়ি ধর্মে ।
আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাই,এসে জীবন-নদীর পাড়ে,
ঈমানের সাথে যেন যেতে পারি এ দুনিয়া ছেড়ে।
শ্রদ্ধেয় স্যার, সহকর্মী ভাই-বোন যারা,
জীবন ত মোদের কেবলই ভুলে ভরা।
শেষ করছি দোয়া চেয়ে সবার তরে,
দিবেন সবাই একে অপরে ক্ষমা করে।
শ্রদ্ধেয়া হাসিনা আপা,
প্রিয় রাবেয়া আপা
(আল কুরআন সুরা আররহমান অবলম্বনে)
পরম করুণাময় আল্লাহ মেহেরবান
সৃষ্টি করে মানুষ আল্লাহ শিখালেন কুরআন।
শিখিয়ে কথা, দিয়ে সূর্য চন্দ্র,
দিয়েছেন দিবারাত্রি হিসাবের জ্ঞান।
(আল কুরআন,সুরা ইয়াছিন~ 2-31;33-50;53-83; অবলম্বনে)
পরম দাতা দয়ালু আল্লাহর নামে ।
জ্ঞানগর্ভ কুরআনের কসম করে ,বলেন রবে
রাসুল তোমায় কিতাব দিলাম
অসাবধানীদের বোঝাতে হবে ।
রুহ আল্লাহর হুকুম দুনিয়ায় মানব দেহ রুপে,
মৃত্যুর সাথে যায় পরকালে, দেহ দেই মটিতে সপে।
মৃত্যু মোদেরে আড়াল করে আছে এহকাল পরকাল,
এটাই কি পরীক্ষা? পরকালে কি আছে ফলাফল?
(আল কুরআন, সুরা ইমরান ১৯০-২০০ অবলম্বনে)
পৃথিবী ও আকাশ সৃষ্টি, রাত দিনের পালা বদলে রয়েছে নিদর্শন,
কায়ান মনি , কায়ান মনি ,কেমন আছ তুমি?
পরকালে আনন্দেতে আছ তুমি মানি।
(আল কুরআন, সুরা ১৮-আল কাহফ ৩১-৪৪ অবলম্বনে)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
-------
আল্লাহ বলেন,খেজুর গাছে ঘেরা দু'টি আংগুর বাগান
পানির নহর দিয়ে তাতে করেছি ফল উৎপাদন।
গরিব বাগান মালিকেরে অহংকারে বলে,
ধনে-জনে শক্তিশালী আমি,তোমাকে পিছনে ফেলে।
আমার এ বাগান কখনো না ধংস হবে,
আমি মনে করি না কখনো কিয়ামত সংঘটিবে।
তার সাথী তাকে বলে,যে আল্লাহ সৃজিয়াছেন তোমায়,
মাটি,শুক্রানু হতে মানুষরুপে তাকে ভুলে গেলে হায়।
তিনিই আল্লাহ, আমার রব আমি ভুলি নাই তাকে,
শরীক করি না তার সাথে কোন কিছুকে।
"মাশা আল্লাহ" বললে না যে, বাগানে প্রবেশ কালে,
যে কারনে বাগানের ফলকে বিপর্যয়ে ঘিরে ফেলে,
অহংকারী বলল হায়, হল সর্বনাশ আমার,
বুঝেছি সব কর্তৃত্ব সব কিছু সত্যবাদী আল্লাহর।
(আল কুরআন, ১৮-আল কাহফ (১-১১) অবলম্বনে)
বিসমিল্লাহ বলে শুরু, সব প্রশংসা আল্লাহর,
যিনি বক্রতাহীন কুরআন দিয়েছেন প্রয়োজনে বান্দার।
যাতে রয়েছে বিপদ কাফেরের,মুমিনের উত্তম পুরস্কার,
কাফের জ্ঞানহীন, মিথ্যাবাদী বলে সন্তান আল্লাহর।
হে নবী (সঃ) তারা ঈমান না আনলে,
তোমার জীবন কি দিবে সংকটে ফেলে।
আমি তো সৌন্দর্য ময় যমীন দিয়ে,
পরীক্ষা করছি কে উত্তম আমলে?
এ মাটি কিয়ামতে করিব উদ্ভিদশূন্য খাটি,
আমার বিস্ময়কর নিদর্শন গুহাবাসী।
গুহায় আশ্রয়ী যুবকগণ বলে হে রব,
দান কর রহমত,পূর্ণ করো মোদের কাজকর্ম সব।
তারপর তাদের ঘুমিয়ে রাখলাম ৩০৯ বছর,
একটি কুকুর ও ছিল তাদের সহচর।
এ নিয়ে তর্ক করো না তারা ছিল ক'জন,
হে নবী, বল তা জানেন আমার আল্লাহ মহান।
আত্নীয়দের মধ্যে যত শ্রেষ্ঠ আমার মা,
মায়ের স্মৃতি কখনো যে ভুলতে পারিনা।
অতীত স্মৃতি মনে করে, হৃদয়ে মোর কাপন ধরে,
মা যে আমার কষ্ট করে তুলে রাখত খাবার ভরে,
স্কুল থেকে ঘরে ফিরে, ছেলে আমার খাবে কিরে?
আরো আগের কথা তো আর বলার মত নয়,
বয়স আমার দশ কি বারো মারা গেলেন বাবায়!
আটটি মোরা ভাইবোনে,
কষ্ট দিয়ে মায়ের মনে,
ক্ষেতের কাজ ফেলে রেখে,
স্কুলফিরে খেলতে গেছি মাঠে।
তিনটি আমার ভাই বোন, চলে গেল পরপারে!
মায়ের কত দুঃখ মনে, গড় গড়িয়ে অশ্রু ঝরে!
এখনকার সব মেয়েদের মত,
ক্লান্ত হতে দেখিনি তো।
এমন আমার শ্রেষ্ঠ 'মা' যে
চলে গেলেন ২০২০ ২২ শে মে।
আল্লাহ আমার মা-বাবারে,
সুখে রেখ কবরে।