বে‌র‌সিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বে‌র‌সিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২৮ জানু, ২০২২

১৮ সেপ, ২০২১

দু'টি আংগুরের বাগান- কবিতা

 (আল কুরআন, সুরা ১৮-আল কাহফ ৩১-৪৪ অবলম্বনে)

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। 

-------

আল্লাহ বলেন,খেজুর গাছে ঘেরা দু'টি আংগুর বাগান

পানির নহর দিয়ে তাতে করেছি  ফল উৎপাদন। 

গরিব বাগান মালিকেরে অহংকারে বলে,

ধনে-জনে  শক্তিশালী আমি,তোমাকে পিছনে ফেলে।

আমার এ বাগান কখনো না ধংস হবে,

আমি মনে করি না কখনো কিয়ামত সংঘটিবে।

তার সাথী তাকে বলে,যে আল্লাহ সৃজিয়াছেন তোমায়,

মাটি,শুক্রানু হতে মানুষরুপে তাকে ভুলে গেলে হায়।

তিনিই আল্লাহ, আমার রব আমি ভুলি নাই তাকে,

শরীক করি না তার সাথে কোন কিছুকে।

"মাশা আল্লাহ" বললে না যে, বাগানে প্রবেশ কালে, 

যে কারনে বাগানের ফলকে বিপর্যয়ে ঘিরে ফেলে,

অহংকারী বলল হায়, হল সর্বনাশ আমার,

বুঝেছি সব কর্তৃত্ব সব কিছু সত্যবাদী আল্লাহর।




৩ সেপ, ২০২১

গুহাবাসী-কবিতা

 (আল কুরআন, ১৮-আল কাহফ (১-১১) অবলম্বনে)

বিসমিল্লাহ বলে শুরু, সব প্রশংসা আল্লাহর, 

যিনি বক্রতাহীন কুরআন দিয়েছেন প্র‍য়োজনে বান্দার।

যাতে রয়েছে বিপদ কাফেরের,মুমিনের উত্তম পুরস্কার, 

কাফের জ্ঞানহীন, মিথ্যাবাদী বলে সন্তান আল্লাহর। 

হে নবী (সঃ) তারা ঈমান না আনলে,

তোমার জীবন কি দিবে সংকটে ফেলে।

আমি তো সৌন্দর্য ময় যমীন দিয়ে,

পরীক্ষা করছি কে উত্তম আমলে?

এ মাটি কিয়ামতে করিব উদ্ভিদশূন্য খাটি,

আমার বিস্ময়কর নিদর্শন গুহাবাসী।

গুহায় আশ্রয়ী যুবকগণ বলে হে রব, 

দান কর রহমত,পূর্ণ করো মোদের কাজকর্ম সব। 

তারপর তাদের ঘুমিয়ে রাখলাম ৩০৯ বছর, 

একটি কুকুর ও ছিল তাদের সহচর। 

এ নিয়ে তর্ক করো না তারা ছিল ক'জন,

হে নবী, বল তা জানেন আমার আল্লাহ মহান।



৫ ফেব, ২০২১

বেরসিকের টুকরো খবর

 । বেরসিকের আতংক, কি জানি কখন মেজাজ বিগড়ে যাবে। ঃ-

একবার বেরসিককে তার স্ত্রী বলল, আমার গামছা কেউ ব্যবহার করবে না। ঠিক ঠিক বেরসিক স্ত্রীর গামছা ব্যবহার করেনি। দুদিন পর স্ত্রী দেখল সে গামছা ব্যবহার করেনি। সে অমনি গামছাটা টেনে ছিড়ে ফেলল। এবং বলল, আমি বলেছি আর তাই তুমি গামছা ব্যবহার করনি আমি ও ব্যবহার করবো না। 

৪। বেরসিকের দুর্দিন ঃ

  করোনার ঊর্ধ্বগতির  মধ্যে বেরসিক অফিস বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। কয়েকদিন পর অফিসের বড় বস ফোন করে বললেন অনেক দিন ছুটি হয়ে গেল। আপনি তাড়াতাড়ি অফিসে যোগ দেন। এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। স্ত্রী বলল, আরো একদিন থেকে যাও। বেরসিক এতে স্ত্রীকে বকা দিল।আর তাতেই হল সর্বনাশ । বেরসিকের স্ত্রী প্রায় এক সপ্তাহ হল কথা বন্ধ করে দিয়েছে। 

বেরসিক অফিসের উদ্দেশ্যে পরের দিন ভোর চারটায় অটো রিকশা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ১৪০ কিলোমিটারের পথ। পরে ফেরি, কুরিয়ার সারভিসের গাড়ি, রিকশা,বাস এবং হেটে ই ঢাকায় পৌঁছান। 

এদিকে স্ত্রী বলেছে বেরসিক চাকুরী থেকে অবসর না নেওয়া পর্যন্ত কথা বলবেনা। আর বেরসিক ভাবছে চাকরি থাকা কালিন এমন ব্যবহার। চাকরি না থাকলে তো পাত্তাই দিবে না। বুড়ো বয়সে এ জ্বালা সহ্য হবে তো?  


 

৭ নভে, ২০২০

বিচার দিনে _কবিতা


(আল কোরআন সূরা তাহা 107 থেকে 112)
লেখক - Admin

ওরা প্রশ্ন করে পর্বতেরে  আল্লাহ করবেন কি?     
    উড়াইয়া দিবেন রবে  বানাইয়া ধুলি । 
জমিন হবে সমভূমি ,অসমতল  থাকবে না কিছু,
বাহানা চলবে না,ধরবে সবাই আহ্বায়কের পিছু । 
সেদিন সবাই হাজির হবে মহান সম্রাটের  সামনে। 
সুপারিশকারী পাবে না ,আমাদের রাসুল (সা) বিনে।
 
সামনে-পিছে যা আছে সবই আছে আল্লাহর জ্ঞানে , 
   জুলুম বাজ ব্যর্থ হবে চিরস্থায়ী রবের সামনে । 
মুমিনের , অবিচার-অধিকার বঞ্চিতের  নাই ভয় । 
আল্লাহর সামনে  হবে সেদিন তাদের জয়। 

৩ নভে, ২০২০

তিরস্কার পুরস্কার -কবিতা

 ‌লেখক- বের‌সিক
(আল্ কুরআন, সুরা মারইয়াম ৬৫- ৯২ অবলম্ব‌নে)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ,প্রার্থনা রবের কাছে ,
আকাশ পৃথিবীর রব, তোমার মত জ্ঞানী কি আর আছে ?
মানুষ বলে ,মৃত্যুর পরে আবার কি জীবিত হব ?
যখন কিছুই ছিলে না , সৃজিয়াছেন তিনি একথা একটু  ভাবো ।
শয়তান সহ সকলেরই জড়ো, ক‌রবে দোযখের  পাশে হায়,
যারা আল্লাহর অবাধ্য ,দোযখের যোগ্য দাখিল করবে তায় ।
ঈমানদারগণে মুক্তি দিবে বুঝাবে কোন দল উত্তম মর্যাদায় ।
তাদের আগেও সম্পদশালীদের বিনাশ করেছে শাস্তির থাবায় ।
যারা গোমরাহীতে লিপ্ত, প্রচুর অবকাশ দি্বে কিয়ামত অবধি ,
ওদের জানাবে কে মর্যাদায় কদর্য, আর কে সেনায়  দুর্বল হে নবী ।"
যারা সৎপথে চলে আল্লাহ তাদের দেন উত্তম ফল ,
বৃথা নাহি যায় তাদের শ্রম, নাহি হয় নিষ্ফল ।
যে আল্লাহর আয়াত অস্বীকার করে এবং দিতে চাহে মাল আওলাদ ,
শাস্তি বাড়িবে না মিথ্যা আশ্বাসে, কাজে আসিবে না তাদের ইবাদত ।
যে দেয় আল্লাহকে সন্তান গ্রহণের মিথ্যা অপবাদ ,
মিথ্যা বলার কারনে ওদের দিয়ে দোযখ করিবে আবাদ ।

৩১ অক্টো, ২০২০

ভূকম্পন~ক‌বিতা

‌লেখক  বের‌সিক
(আল্ কুরআন, সুরা যিলযাল অবলম্ব‌নে )

আল্লাহ বড়ই রহিম রহমান  ।
 ইসরাফিল আঃ শিংগায় ফুঁ‌কিব‌ে যখন,
পৃথিবীর হই‌ব‌ে প্রবল কম্প‌ন। 
বের করে দিবে সে তার সব ধন।

 মানুষ বলিবে হায়, এর কি হল? 
আল্লাহ বলিবে,  তোমার বৃত্তান্ত বল ।
 জী‌বিত কা‌লে কে কি করেছিল সে ব‌লি‌বে ।
ভিন্ন ভিন্ন দলে মানুষ  কর্মফল জানিবে ।

অ‌তি ক্ষুদ্র  সৎ ও অসৎকর্ম বাদ কিছু ন‌া‌হি যা‌বে।
তারই বি‌নিম‌য়ে বে‌হেস্ত দোযখ মি‌লি‌বে ।
তাই  এখনই সকলকে সতর্ক হই‌তে হ‌বে ।
**************     ***********
পৃথিবী ধ্বং‌সের কাল্প‌নিক ভি‌ডিও

 
 

২৬ অক্টো, ২০২০

অবাধ্যতার প‌রিনাম~ ক‌বিতা (সুরা ইয়াসিন ২-৩১)

‌লেখক ~ বের‌সিক
 (আল কুরআন,সুরা ইয়া‌ছিন~ ২ হ‌তে ৩১ অবলম্ব‌নে)

পরম দাতা দয়ালু আল্লাহর না‌মে ।
জ্ঞানগর্ভ কুরআ‌নের কসম ক‌রে ,ব‌লেন র‌বে
 রাসুল তোমায় কিতাব দিলাম
 অসাবধানী‌দের বোঝা‌তে হ‌বে ।
ভুল প‌থে দৃঢ় হ‌লে ,আল্লাহ তা‌তে সহজ ক‌রে,
‌বিশ্বাসীরাই উপ‌দেশ মা‌নে ,সত্যের প‌থে জীবন গ‌ড়ে।
জীবন মৃত্যু হুকুম আল্লাহর,কর্ম লি‌পি থাক‌বে সবার
‌বিশ্বাসী‌দের কর‌বে ক্ষমা,‌দি‌বেন তা‌দের পুরস্কার।
একদা এক বস্ত‌ি‌তে দি‌লেন দু'জন রাসুল পা‌ঠি‌য়ে,
তৃতীয় জন পা‌ঠি‌য়ে তা‌দের শ‌ক্তি দি‌লেন বা‌ড়ি‌য়ে।
মানল না তো বস্তিবাসী রাসুল‌দের ঐ সত্য বাণী,
হা‌বিব নাজ্জার এ‌সে বলল,‌তোমরা মান,আ‌মিও মা‌নি ।
‌যে আল্লাহ জীবন দি‌লেন,তারই কা‌ছে যে‌তে হ‌বে,
রাসুলরা  তো চায়না কিছু,হ‌বে না‌কো কিছু দি‌তে।
অন্য কাউকে মাবুদ মানলে,পাব না তো বিপদেতে 
এমন করলে পড়ব মোরা মহা বিভ্রান্তিতে ।
পাথর মেরে তারা তাকে হত্যা করলো যখন,
আল্লাহ তাকে বেহেস্তে তে পাঠিয়ে দিলেন তখন। 
তার পর এক ভীষন শব্দে ধ্বংস হলো বস্তিবাসী,
আল্লাহ তাদের জীবন নিলেন তারা ছিল মহা পাপী।
যখনই রাসুল এসেছে ভবে,ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে তবে। 
আল্লাহ ও সব প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছেন সবে। 

২৩ অক্টো, ২০২০

মনের বাসনা~ক‌বিতা

‌লেখক~ বের‌সিক
(সুরা ফা‌তিহার অনুবাদ অবলম্ব‌নে)

শয়তান হ‌তে তোমার কা‌ছে  আশ্রয় চাই আ‌মি,
‌হে দয়াময় রহমান রহিম তু‌মি ।।
‌হে রব সব প্রসংশা তোমারই ক‌রি আ‌মি ,
তু‌মি পরম দয়াময় ,অ‌তি দয়ালু জা‌নি
বিচার দিনের মালিক মা‌নি ।
‌তোমারই ইবাদত করি,
সাহায্য চাই তোমারই ।
চালাও সে সরল প‌থে আমা‌রে,
তা‌দের প‌থে, পুরস্কৃত ক‌রেছ যা‌দে‌রে।
তা‌দের প‌থে নিও না মো‌রে, 
অ‌ভিশপ্ত আর পথভ্রষ্ট হ‌য়ে, 
যারা প‌থে প‌থে ঘো‌রে ।

২২ অক্টো, ২০২০

স্মৃতি - কবিতা

লেখক - বেরসিক-. সময়কাল ১৯৮৪

হে অম্লান অক্ষয়ী স্মৃতি, 
তুমি আবহমান কাল ধরে, 
মানব মানস পটে জাগরুক থেকে
ঝরিয়েছ অশ্রু, ফুটিয়েছ হাঁসি অধরে। 
তুমি অতীত বরতমানের যোগ সুত্র,
তুমি আনন্দ, তুমি বেদনা মানব মনে।
কাজে উদ্দৌম আর হতদ্দৌম সৃষ্টিতে
তুমি অগ্রনী ভুমিকা কর পালন।
আমারে দিও তুমি প্রান শক্তি
শুধু মোর এই নিবেদন। 

১৯ অক্টো, ২০২০

আশা - কবিতা

লেখক -বেরসিক       সময়কাল১৯৮৪


হে মায়াবিনি আশা,
তোমার কোহেলিকা মহে 
আজ ও বেঁচে আছি এ ভবে,
তুমি বন্ধু, তুমি প্রিয়তমা নিঃসন্ধেহে।

তুমি পথ হারার দাও পথের সন্ধান, 
তুমি মুমূর্ষুর দাও প্রান। 
দুঃখের দিনের তরী তুমি,
তুমি হতাশার যান। 

হে প্রানবন্ত আশা, 
তোমার কুহুকে চলেছি ভেসে
কঠিন প্রস্তর প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে,
পৌঁছাবে কি মরে ? 
মনের কিনারে ভেসে থাকা 
ক্ষীণ আশার পাশে। 

তোমার মহে জগতের কে না ছুটেছে
ছাত্রের অধ্যায়ন,তাঁতীর বয়ন,
কর্মীর কর্ম ,ধার্মীকের ধর্ম
সবই তো তোমার মাঁয়ার বাঁধন ,
হে ছলনাময়ী, 
তোমার পরাজয় যেখানে 
আমাদের মরন সেখানে। 
তবুও হে মায়াবিনী আশা 
তোমারে  রাখিব স্মরনে। 


১৬ অক্টো, ২০২০

বিজয় দিবস -কবিতা

লেখক- মো: জালাল উদ্দিন ;    ১৯৮৪ (ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ৮৮-৮৯ সেশনে প্রকাশিত) 

হে খোদা!  আমার সন্তানদের 
তুমি সুখে রেখ,
ঘর ছেড়েছে যার তরে,
তাদের সে আশা পুরন করে
ফিরিয়ে দিও ঘরে। 
এই ত মা তাদেরই হয়ে 
আমি ফিরেছি তোমার ঘরে। 
বাবা, কে তুমি?  কি নাম তোমার? 
তোমার ছেলের রক্তে মাখা,
বিজয় দিবস ষোলই ডিসেম্বর। 

Feartured Post

Land 22-06-25

 

জনপ্রিয় পোস্ট