(আল কুরআন সুরা আররহমান অবলম্বনে)
পরম করুণাময় আল্লাহ মেহেরবান
সৃষ্টি করে মানুষ আল্লাহ শিখালেন কুরআন।
শিখিয়ে কথা, দিয়ে সূর্য চন্দ্র,
দিয়েছেন দিবারাত্রি হিসাবের জ্ঞান।
তারকারাজি ও গাছপালা সিজদাবনত সবে
আসমান ও দাড়িপাল্লা কায়েম করেছেন যবে।
পরিমাপ সঠিক করতে হবে,
নইলে রক্ষা নাহি হবে।
পৃথিবীতে সব ধরনের সুস্বাদু ফল প্রচুর পরিমাণে।
খেজুর গাছ , যার ফল ঢাকা পাতলা আবরণে ।
নানা রকমের শস্য আছে, আছে দানা ও ভূষি ।
তার পর ও তোমরা হবে না কেন খুশী।
অতএব, হে জ্বীন ও মানব তোমরা সবে,
রবের কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে তবে?
মানুষ সৃষ্টি করেছেন মাটির শুকনো পচা কাদায়,
আর জিন সৃষ্টি করেছেন আগুনের শিখায়।
হে জ্বীন ও মানব, রবের অসীম ক্ষমতার,
কোন কোন বিস্ময়কর দিক করবে অস্বীকার ?
আল্লাহ দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচল-সব কিছুর মালিক ও পালনকর্তা ।
হে জ্বীন ও মানব, অস্বীকার করবে রবের কোন বারতা?
দু’টি সমুদ্রের মিলনে হয় না একাকার
তার পর ও অসীম ক্ষ্মতার করবে অস্বীকার?
উভয় সমুদ্র থেকেই পাওয়া যায় মুক্তা ও প্রবাল,
সমুদ্রের বুকে তাঁরই অধীন ভাসমান জাহাজ করে চলাচল।
এ ভূপৃষ্ঠের প্রতিটি জিনিসই ধ্বংস হয়ে যাবে,
মহীয়ান ও দয়াবান রবের সত্তাই শুধু রবে।
বিশ্বের সবে তাঁর কাছে নিজের জন্য প্রার্থনায় ন্যাস্ত।
প্রতি মুহূর্তে আল্লাহ নতুন নতুন কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত।
হে জ্বীন ও মানুষ, তোমরা সবে,
রবের কোন্ গুণ অস্বীকার করবে তবে?
আল্লাহ যেদিন তোমাদের জিজ্ঞাসিবে
সেদিন তোমরা কি জবাব দিবে।
হে জ্বীন ও মানব, যদি পৃথিবী ও আকাশ পেরিয়ে যেতে চাও।
দেখি আমার বড় শক্তি ব্যতিত পালিয়ে যা-ও ।
পালানোর চেষ্টা কালে আগুনের শিখা এবং ধোঁয়া,
ছাড়া হবে যা তোমাদের পিছু করবে ধাওয়া।
কি হবে সেই সময় যখন আসমান চৌচির হয়ে যাবে?
লাল চামড়ার মত লোহিত বর্ণ ধারণ করবে তবে।
সে দিন কোন মানুষ ও জিনকে
গোনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা না হবে।
কারণ কে পাপি আর কে পাপি নয়,
চেহারাতেই তা বোঝা যাবে।
অতএব, হে জ্বীন ও মানব তোমরা সবে,
রবের কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে তবে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন