১ মার্চ, ২০২২

আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ -কবিতাআল কুরআন,সুরা ইয়া‌ছিন~ ২ হ‌তে ৮৩ অবলম্ব‌নে)

 ‌লেখক ~ বের‌সিক

 (আল কুরআন,সুরা ইয়া‌ছিন~ ২ হ‌তে ৮৩ অবলম্ব‌নে)


পরম দাতা দয়ালু আল্লাহর না‌মে ।

জ্ঞানগর্ভ কুরআ‌নের কসম ক‌রে ,ব‌লেন র‌বে

 রাসুল তোমায় কিতাব দিলাম

 অসাবধানী‌দের বোঝা‌তে হ‌বে ।

ভুল প‌থে দৃঢ় হ‌লে ,আল্লাহ তা‌তে সহজ ক‌রে,

‌বিশ্বাসীরাই উপ‌দেশ মা‌নে ,সত্যের প‌থে জীবন গ‌ড়ে।

জীবন মৃত্যু হুকুম আল্লাহর,কর্ম লি‌পি থাক‌বে সবার

‌বিশ্বাসী‌দের কর‌বে ক্ষমা,‌দি‌বেন তা‌দের পুরস্কার।

একদা এক বস্ত‌ি‌তে দি‌লেন দু'জন রাসুল পা‌ঠি‌য়ে,

তৃতীয় জন পা‌ঠি‌য়ে তা‌দের শ‌ক্তি দি‌লেন বা‌ড়ি‌য়ে।

মানল না তো বস্তিবাসী রাসুল‌দের ঐ সত্য বাণী,

হা‌বিব নাজ্জার এ‌সে বলল,‌তোমরা মান,আ‌মিও মা‌নি ।

‌যে আল্লাহ জীবন দি‌লেন,তারই কা‌ছে যে‌তে হ‌বে,

রাসুলরা  তো চায়না কিছু,হ‌বে না‌কো কিছু দি‌তে।

অন্য কাউকে মাবুদ মানলে,পাব না তো বিপদেতে 

এমন করলে পড়ব মোরা মহা বিভ্রান্তিতে ।

পাথর মেরে তারা তাকে হত্যা করলো যখন,

আল্লাহ তাকে বেহেস্তে তে পাঠিয়ে দিলেন তখন। 

তার পর এক ভীষন শব্দে ধ্বংস হলো বস্তিবাসী,

আল্লাহ তাদের জীবন নিলেন তারা ছিল মহা পাপী।

যখনই রাসুল এসেছে ভবে,ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে তবে। 

আল্লাহ ও সব প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছেন সবে। 

তিনি ক্ষমতাধর, তিনি মহান,তিনিই  রহমান রহিম ।

মৃত ভূমি জীবিত করেন শস্য ফলান মহামহিম ।

খেজুর - আঙ্গুর বাগানে ফলান দিয়ে পানির স্রোতে,

মনের সুখে খাও সেসব, তৈরী কি করেছ  তোমাদের হাতে ?

উদ্ভিদ ,মানুষ ,আরো কত কি?,  তৈরি করেছেন জোড়া,

চন্দ্র ,সূর্য ,গ্রহ নক্ষত্রের কক্ষপথ করেছেন খাড়া।

দিবারাত্রি মোদের লাগি বিশ্রামেরই ত‌রে,

দূর-দূরান্তে যেতে পারি যানবাহনে চড়ে ।

নৌযানে ঝড়ের কবলে ডাকি তারে বারে বারে ,

ভুলে যায় সেই স্রষ্টার, বিপদমুক্ত হলে পরে ।

 দুনিয়া আখিরাতের শাস্তির কর ভয় ,

উপদেশ আসলে মানুষ কেন এমন বিমুখ হয় ।

দানের কথা আসলে পরে ,কেন দিব ?কাফের বলে,

আল্লাহ তোমায় অর্থ দিলে, দানে তোমার মুক্তি মেলে ।

ওরা বলে ,কেয়ামতের অঙ্গীকার কখন পূর্ণ হবে ?

ভীষন গর্জন আসবে যবে ,পরিবারে ফেরার সময় নাহি পাবে ।

কেয়ামত আল্লাহর হুকুম, শুধু একটি ভীষন শব্দ,

 তার সামনে করবেন হাজির, করবেন সব কিছু জব্দ। 

 অবিচার  হবে নাকো প্রতিফল দিনে,

আনন্দে থাকিবে স্ত্রীসহ বেহেশতী গণে। 

ফলমূল যা চাহিবে সবই তারা পাবে,

আল্লাহর পক্ষ হতে " সালাম" বলা হবে। 


বলা হবে ,"পাপিরা আজ পৃথক হয়ে যাও",

 দোযখের শাস্তি ভোগ করে নাও। 

নিষিদ্ধ শয়তানের ইবাদত‌ে ছিলে মশগুল,

 আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে করেছ ভুল।

এই সে জাহান্নাম যাতে কাফেরেরা ছিল  অন্ধ,

হাত-পা সাক্ষী দিবে,তোমার বিরুদ্ধে মুখ থাকিবে বন্ধ ।


আল্লাহ দিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি পঞ্চেন্দ্রিয় চলার মত পা ,

দীর্ঘজীবী ,বৃদ্ধ করে বুঝিয়ে‌ছেন তার কত ক্ষমতা! 

কোরআন কবিতা নয় ,আল্লাহর উপদেশ বাণী,

বিশ্বাসীদের ভয় প্রদর্শন ,অবিশ্বাসীদের শাস্তি জা‌নি ।

রবের সৃষ্টির কতক বাহন ,কতক খাবার,

 উপকার পেয়েও এ জাতি অকৃতজ্ঞ হল আবার। 

যাদের‌ে উপাস্য ধরেছ আল্লাহ ছাড়া,

 জাহান্নামে কিছুই করিতে পারিবে না তারা ।


আল্লাহ সৃ‌জিয়াছ‌েন মানুষ শুক্রবিন্দু হতে,

 তর্ক করে বলে, "পঁচিলে অস্থিতে  প্রাণ দিবে কে?" 

যিনি প্রথমবার সৃজিয়া‌ছেন, তি‌নিই  দিবেন প্রাণ,

যিনি সবুজ বৃক্ষ হতে অগ্নি করেন উৎপাদন  ।

যিনি আকাশ পৃথিবী করেছেন সৃজন,

 তিনি অনুরুপ সৃষ্টিতে কি নহে সক্ষম ? 

তিনি "হও" বললে হয়ে যায়, মোরা অজ্ঞ, 

ফিরতে হবে তারই কাছে, তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।


কোন মন্তব্য নেই:

Feartured Post

কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে।

  কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে।

জনপ্রিয় পোস্ট