গল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

১৫ সেপ, ২০২১

বেরসিকের টুকরো খবর ১৫০৯২০২১

  অনেক দিন পর বেরসিকের পুরাতন কথা নতুনভাবে মনে পড়ায় কষ্ট অনুভব করলো। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী বলছিল আমার ছেলেরা বড় হলে তোমার সাথে আর আমি নাই। ক'দিন ধরে স্ত্রী বেশ ঝামেলা পাকাচ্ছে এবং খুব অসন্তোষ প্রকাশ করছে। 

বেরসিক ভাবছে সেই পুরাতন পরিকল্পনা নতুন করে নয় তো। আবার এটাও ভাবছে তার ছেলেরাও তো বড় হয়েছে। 

আবার ভাবছে আল্লাহ যা করবেন তা তার মংগলের জন্যই। 





১৬ জুল, ২০২১

ইতিবাচক চিন্তাভাবনা সফলতার চাবি

 "আল্লাহ মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন আমাদের কাজের পরীক্ষার জন্য । কে  ভালো কাজ করে আর কে মন্দ কাজ করে আল্লাহ তার হিসাব নিবেন,তিনি পরাক্রমশালী, তিনি ক্ষমাশীল। " -আল কুরআন, সুরা ৬৭- আল-মুলক,আয়াত ২।

আল্লাহ আমাদের যে সুন্দর জীবন দিয়েছেন তার সঠিক ব্যবহার করে আল্লাহর এই অতুলনীয় দানের আমানতদারী রক্ষা করতে হবে। সঠিক পথে চলে আল্লাহর আমানতের খেয়ানত থেকে যেমন রক্ষা পাওয়া যাবে, তেমনি নিজের ইহলোকিক ও পরলোকিক জীবন সুখের  হবে। তার জন্য নিচের কথাগুলো মনযোগ দিয়ে পড়ুন এবং নিয়ম মেনে চলুন। 

১। আমদেরকে ভালো কাজ করতে হবে যাতে আল্লাহর কাছে পরীক্ষায় হেরে না যাই। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। বিশ্বাস করুন আপনি যা করছেন তা সঠিক। 

২।আল্লাহর নিকট প্রার্থনার শক্তি পরীক্ষা করুন। 

৩।শান্তিপূর্ণ মন শক্তি উৎপাদন করে। 

৪।নিজের সুখ নিজেই তৈরি করুন। 

৫।আকস্মিক ক্রোধ ও বিরক্তি থেকে বিরত থাকুন। 

৬।উদ্বিগ্ন হওয়া থেকে মুক্ত থাকুন। 

৭।ব্যক্তিগত সমস্যা কাগজে লিখে সমাধানের চেষ্টা করুন। 

৮।জীবনের শক্তি যখন অবসন্ন, মনে নতুন চিন্তা এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর ধ্যান করুন। 

৯।শক্তি লাভের জন্য শিথিল হওয়া প্রয়োজন।  নিশ্চিন্তে ঘুমান। 

১০। মানুষের ভালবাসা অর্জনের চেষ্টা করুন। মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করুন।

১১। "মনের ব্যথা" দূর করার জন্য শারীরিক পরিশ্রম করুন।  মনের কষ্ট কিছু লাভ হয় মস্তিষ্কের কিছু কোষ  পরিশ্রমে অংশ গ্রহন করে বলে । আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন। বিশ্বাস করুন আল্লাহ পারেন না এমন কিছু নাই।

মদ জুয়া নয়, ভালো কাজ মানুষের মনে প্রশান্তি আনে। 

১২।"মঙ্গল কর কাজ " মুখমন্ডল উজ্জ্বল করে। আল কুরআনের সূরা ১০-ইউনুস এর ২৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন -

"যারা মংগলকর কাজ করে তাদের জন্য আছে মংগল এবং আরও অধিক। কালিমা ও হীনতা তাদের মুখমন্ডলকে আচ্ছন্ন করবে না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেথায় তারা স্থায়ী হবে। "

১৩। "মন্দ কাজ "  মনে হীনতা আচ্ছন্ন করে এবং মুখমন্ডল কালিমাযুক্ত করে।মঙ্গল কর কাজ কর মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে। আল কুরআনের সূরা১০- ইউনুস এর ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন -

"যারা মন্দ কাজ করে তাদের প্রতিফল স্বরূপ মন্দ এবং তাদেরকে হীনতা আচ্ছন্ন করে। আল্লাহ থেকে তাদের রক্ষা করার কেউ নাই। তাদের মুখমণ্ডল যেন রাতের অন্ধকারের আস্তরনে আচ্ছাদিত।  তারা অগ্নির অধিবাসী যেখানে তারা স্থায়ী হবে।"

১৪। আপনি সফল এবং সুখী হতে চান? 

সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখুন। আপনি পরিশ্রম করবেন আর তার প্রতিদান দিবেন আল্লাহ। অতীতের ব্যর্থতাকে ভুলে যান, নতুনভাবে শুরু করুন, সমস্যাগুলো কাগজে লিখে সমাধানের চেষ্টা করুন। কাজে যে ফলাফল আসে তার জন্য আল্লাহর  কাছে প্রশংসা  করুন। 

 কর্মের পাশাপাশি ধর্ম পালনে মনোযোগী হন। ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবে। মানসিক শান্তি আসবে। 





১৪ জুল, ২০২১

ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে ভালো এবাদত

  আল্লাহর উপর ঈমান এনে তার হুকুম পালন করা, সৎ কাজ করা, ধৈরয ধারণ করা এবং সৎ কাজ ও ধৈরযের উপুদেশ দেওয়া। 

আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার পর, আল্লাহর রাসুল,  ফেরেস্তা, আসমানি কিতাব এর উপর ঈমান এনে নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাতের পর মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করাই হলো ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে উত্তম ইবাদত। 



আল্লাহর ৯৯ নাম

৫ ফেব, ২০২১

বেরসিকের টুকরো খবর

 । বেরসিকের আতংক, কি জানি কখন মেজাজ বিগড়ে যাবে। ঃ-

একবার বেরসিককে তার স্ত্রী বলল, আমার গামছা কেউ ব্যবহার করবে না। ঠিক ঠিক বেরসিক স্ত্রীর গামছা ব্যবহার করেনি। দুদিন পর স্ত্রী দেখল সে গামছা ব্যবহার করেনি। সে অমনি গামছাটা টেনে ছিড়ে ফেলল। এবং বলল, আমি বলেছি আর তাই তুমি গামছা ব্যবহার করনি আমি ও ব্যবহার করবো না। 

৪। বেরসিকের দুর্দিন ঃ

  করোনার ঊর্ধ্বগতির  মধ্যে বেরসিক অফিস বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। কয়েকদিন পর অফিসের বড় বস ফোন করে বললেন অনেক দিন ছুটি হয়ে গেল। আপনি তাড়াতাড়ি অফিসে যোগ দেন। এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। স্ত্রী বলল, আরো একদিন থেকে যাও। বেরসিক এতে স্ত্রীকে বকা দিল।আর তাতেই হল সর্বনাশ । বেরসিকের স্ত্রী প্রায় এক সপ্তাহ হল কথা বন্ধ করে দিয়েছে। 

বেরসিক অফিসের উদ্দেশ্যে পরের দিন ভোর চারটায় অটো রিকশা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ১৪০ কিলোমিটারের পথ। পরে ফেরি, কুরিয়ার সারভিসের গাড়ি, রিকশা,বাস এবং হেটে ই ঢাকায় পৌঁছান। 

এদিকে স্ত্রী বলেছে বেরসিক চাকুরী থেকে অবসর না নেওয়া পর্যন্ত কথা বলবেনা। আর বেরসিক ভাবছে চাকরি থাকা কালিন এমন ব্যবহার। চাকরি না থাকলে তো পাত্তাই দিবে না। বুড়ো বয়সে এ জ্বালা সহ্য হবে তো?  


 

২০ ডিসে, ২০২০

বেরসিকের টুকরো খবর ঃ

এক সকালে বেরসিক মোবাইলে আল কুরআন পড়ছিল।  স্ত্রী বলল, তুমি মোবাইল চালাচ্ছ অথচ আমাকে একটু সময় দিচ্ছ না। বেরসিক বলল, আমি কুরান তেলাওয়াত করছি। কিন্তু কে শুনে কার কথা। বলল, মোবাইলে কুরান পড়তে হবে কেন?  বেরসিক তাড়াতাড়ি মোবাইল বন্ধ করে দিল। 

স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বেরসিকের কবিতা ঃ-

তুমি না থাকলে আমি হয়ে যাই এলো মেলো,

অফিসে যাওয়ার সময় চুল দাঁড়ি থাকে অগোছালো।

তুমি বলে দিতে শারট প্যান্টএর বোতাম খোলা,

গায়ে তেল মাখানো মনে করে দিতে হলো।

এ সব কিছু কি যায় ভোলা,

তুমি না থাকলে আমি পাগল পোলা।

যতই মেজাজ দেখাও কি না,

তুমি না থাকলে আমার কেন যে চলেনা।

২৫ অক্টো, ২০২০

আমার ক‌ভিড১৯ আক্রান্ত কালীন সময়

বউ মার উপ‌দেশ :
    আমার আগে থেকে ধুলাবালি, ঠান্ডা এলার্জি মানে খুসখুসে কাশি, কফ এগুলো থাকার কারণে প্রথমদিকে কিছু বুঝতে পারিনি। স্ত্রীর জ্বর মাথা ব্যাথা। শাশুড়ির জ্বর মাথাব্যথা ,শ্যালিকার শরীর ভালো নেই আরও কিছু দিন আ‌গে থে‌কে। যখন আমার জ্বর মাথা ব্যাথা শুরু হল তখন সন্দেহ হল। প্যারাসিটামল খেয়ে জ্বর সাময়িক কমতে থাকল। কিন্তু শরীর সবার  দুর্বল হতে লাগলো। খেতে থাকলাম মসলা দেওয়া গরম পানি, লেবু, চা। ‌দি‌নে ৪/৫ বার ।
বৌমা ঔষধের তালিকা পাঠিয়েছে সে অনুযায়ী জ্ব‌রে প্যারাসিটামল পাতলা পায়খানায় স্যালাইন। শেষের দুর্বলতায় মাল্টিভিটামিন। 
বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ 14 দিন কভিড ১৯ টেস্ট এ পজিটিভ আসার পর হাসপাতাল থেকে জানালেন। মাস্ক পড়া ছিল বাধ্যতামুলক ।
সময় কাটানো খুবই কষ্টকর। 23 দিন পর দ্বিতীয় দফায় কভিড টেস্ট করালাম। এবারে রেজাল্ট নেগেটিভ আসলো। শরীর খুব দুর্বল। 35 দিন পর অফিসে যোগদান করলাম। এ সময়টা গ্রামের বাড়িতে সময় কাটিয়েছি। চেষ্টা করেছি সাথে থাকা ছোট ছেলেটা যেন আক্রান্ত না হয়। আলহামদুলিল্লাহ ছোট ছেলেটা ভালোই ছিল এবং ভালো আছে। 

১৬ অক্টো, ২০২০

বেরসিকের পেনশন( Pension of witless)

 বেরসিক নাম যেন কেমন কেমন। তবে এটা তার আসল নাম নয়। কলেজ জীবন এ বন্ধুদের দেওয়া নাম। নতুন বছরে নতুন নামে ডাকা হবে তালিকায় পাওয়া নাম। বন্ধুরা লিখেছে - ছাত্র ভালো "বেরসিক"।

  শিশুকাল Childhood ঃ গ্রামের সবুজ  ঘন বনে ঘেরা ছোট্র কুটিরে কোন এক সোমবারে (মায়ের মুখ থেকে শুনা)  জন্ম বেরসিকের।সম্ভবতঃ ১৯৬৩ সন।বয়স যখন ৪/৫ বছর ভর্তি করা হল মাদ্রাসায়  ইসলামী শিক্ষার সাথে বাল্য শিক্ষা।  দাদা ও বাবা প্রথম শ্রেণীতে পড়া কালিন একদিন পর পর কলেরায় মারা যান। মা এবং দু'বছরের বড়ো ভাই এ-র তদারকিতে সংসার চলতে থাকে ,সংসারে সদস্য পাঁচ ভাই দুবোন । তিন মাস পরে ছোট ভাই মারা যায়। ১৯৭৩ সনে বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। আল্লাহ সে সময় তাদের সহায় হন।

স্কুল জীবন (School Life) : বাড়ী থেকে দুই কিলোমিটার দুরে প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে পড়াশুনা। প্রতিবারের মতো এবারও শ্রেনীতে প্রথম ও ৫ম শ্রেনীর বৃত্তি পেল। পায়ে জুতা ছাড়াই চলল ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত।  এবার ও বৃত্তি পেল। অবদান মা, বড়ো ভাই এবং শিক্ষক গণের। বেরসিক অনেকটা বোকা ও ছিল।
এস এস সি পরীক্ষার সময় কোন এক পীর সাহেব আসলেন স্কুলের সবাইকে বলা হল হুজুরকে ছালাম কর। বেরসিক ও করল। তার প্রিয় কাশেম স্যার ছিলেন এ কাজের ভূমিকায়। যা হোক পরীক্ষা হয়ে গেল। রেজাল্ট প্রথম বিভাগ।

কলেজ জীবন(College Life):
 তার এটা একটু কষ্টের জীবন ছিল।
১৯৭৯ সনে  এসএসসি পাশ করার পরে রাজবাড়ী সরকারী কলেজে ভর্তি হল। আত্নীয় বাড়ি, হোস্টেল এবং লজিং(সূর্যনগর)  থেকে ক্লাস করার ৪ মাস পরে বুঝল ভাবে পড়াশুনা সম্ভব নয়। বালিয়াকান্দি কলেজের অফার ফ্রি থাকা খাওয়া সহ লেখাপড়া করা যাবে।যে কথা সেই কাজ বালিয়াকান্দি কলেজে পুনরায় ভর্তি। ক্লাস চলতে থাকল  ৭ কিলোমিটার পায়ে হেটে বা বাইসাইকেলে। তার পরে একটি লজিং যা তিন মাস থাকা সম্ভব হয়েছিল। 


২য় পর্ব-
৭ কিলোমিটার হেঁটে, বাইসাইকেলে, পেয়িং গেস্ট থেকে অনেক কষ্টে  এইস এস সি  পরীক্ষা হয়ে গেল। ফলাফল দ্বিতীয় বিভাগ। এ্ই ফলাফলে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিল কিরন চৌধুরী। তবে কিরনের বোন মুসলিম হলেও কিরন অমুসলিম অবস্থায় মারা যাওয়ায় বেরসিকের মাঝে মাঝে  মন খারাপ হয়ে যায়।
এর পর অনার্সে ভর্তি কাহিনী আরও মজার তা লিখব অন্য দিন।


 ৩য় পর্ব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে দুইবার ফোন করেছিল পরিচিত একজনকে। ফলাফল জানায়নি। পরে পাংশা বিশ্ববিদ্যালয়ে          বি-এসসি ও ঢাকা টিটি কলেজ হতে বি-এড করে শিক্ষকতা করতে থাকে। এরই মধ্যে সরকারী চাকুরী হওয়ায় যোগ দেয় চাকুরীতে। আশা চাকুরী শেষে অবসর ভাতা পাওয়া যাবে।এখন পেনশনের জন্য টেনশন হল কোন হারে পাবে। সরকার মহা বিপদে। একবার বলছে, পুরো পাওনা একবারে, কখনো বলছে অর্ধেক নগদ অর্ধেক কিস্তিতে আবার কখনো বলছে পুরোটাই কিস্তিতে দিবে।বেরসিক এখন সেনাবাহিনীর পেনশন নিয়ে ব্যস্ত।
চলবে-

জনপ্রিয় পোস্ট