বেরসিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বেরসিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

১৩ অক্টো, ২০২২

বেরসিকের টেনশন ও কিছু প্রশ্ন ঃ

 1. Am I in wrong way when I follow my wife's advice by mental pressure?


a) Once a time I am doing banking jobs. I try to change myself as teacher. But she and my father-in-law tell me not to do this.  I do estkhara and fixed banking job.

b) She wants to expend my earning by her own hands and calculated if a penny. I considered it.
c) She wants to know my provident funding all history.
d) I sell my land 2009/2010 year .But I don't do registered the property. Because my elder brother does not handover my rest of property. For pressure of my wife I do it late.
e) I can't expend my money by my own decisions. 

১৫ সেপ, ২০২১

বেরসিকের টুকরো খবর ১৫০৯২০২১

  অনেক দিন পর বেরসিকের পুরাতন কথা নতুনভাবে মনে পড়ায় কষ্ট অনুভব করলো। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী বলছিল আমার ছেলেরা বড় হলে তোমার সাথে আর আমি নাই। ক'দিন ধরে স্ত্রী বেশ ঝামেলা পাকাচ্ছে এবং খুব অসন্তোষ প্রকাশ করছে। 

বেরসিক ভাবছে সেই পুরাতন পরিকল্পনা নতুন করে নয় তো। আবার এটাও ভাবছে তার ছেলেরাও তো বড় হয়েছে। 

আবার ভাবছে আল্লাহ যা করবেন তা তার মংগলের জন্যই। 





২০ ডিসে, ২০২০

বেরসিকের টুকরো খবর ঃ

এক সকালে বেরসিক মোবাইলে আল কুরআন পড়ছিল।  স্ত্রী বলল, তুমি মোবাইল চালাচ্ছ অথচ আমাকে একটু সময় দিচ্ছ না। বেরসিক বলল, আমি কুরান তেলাওয়াত করছি। কিন্তু কে শুনে কার কথা। বলল, মোবাইলে কুরান পড়তে হবে কেন?  বেরসিক তাড়াতাড়ি মোবাইল বন্ধ করে দিল। 

স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বেরসিকের কবিতা ঃ-

তুমি না থাকলে আমি হয়ে যাই এলো মেলো,

অফিসে যাওয়ার সময় চুল দাঁড়ি থাকে অগোছালো।

তুমি বলে দিতে শারট প্যান্টএর বোতাম খোলা,

গায়ে তেল মাখানো মনে করে দিতে হলো।

এ সব কিছু কি যায় ভোলা,

তুমি না থাকলে আমি পাগল পোলা।

যতই মেজাজ দেখাও কি না,

তুমি না থাকলে আমার কেন যে চলেনা।

৫ নভে, ২০২০

‌মোরা অজ্ঞ আল্লাহ সর্বজ্ঞ- ক‌বিতা (সুরা ইয়াসিন ৫৩-৮৩)

‌লেখক ~ Admin
(আল কুরআন, সুরা ইয়া‌ছিন -৫৩ হ‌তে ৮৩ অবলম্ব‌নে)

শুরু আল্লাহর নামে। 
ভরপুর যিনি রহিম রহমান‌ে। 

কেয়ামত আল্লাহর হুকুম, শুধু একটি ভীষন শব্দ,
 তার সামনে করবেন হাজির, করবেন সব কিছু জব্দ। 
 অবিচার  হবে নাকো প্রতিফল দিনে,
আনন্দে থাকিবে স্ত্রীসহ বেহেশতী গণে। 
ফলমূল যা চাহিবে সবই তারা পাবে,
আল্লাহর পক্ষ হতে " সালাম" বলা হবে। 

বলা হবে ,"পাপিরা আজ পৃথক হয়ে যাও",
 দোযখের শাস্তি ভোগ করে নাও। 
নিষিদ্ধ শয়তানের ইবাদত‌ে ছিলে মশগুল,
 আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে করেছ ভুল।
এই সে জাহান্নাম যাতে কাফেরেরা ছিল  অন্ধ,
হাত-পা সাক্ষী দিবে,তোমার বিরুদ্ধে মুখ থাকবে বন্ধ ।

আল্লাহ দিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি পঞ্চেন্দ্রিয় চলার মত পা ,
দীর্ঘজীবী ,বৃদ্ধ করে বুঝিয়ে‌ছেন তার কত ক্ষমতা! 
কোরআন কবিতা নয় ,আল্লাহর উপদেশ বাণী,
বিশ্বাসীদের ভয় প্রদর্শন ,অবিশ্বাসীদের শাস্তি জা‌নি ।
রবের সৃষ্টির কতক বাহন ,কতক খাবার,
 উপকার পেয়েও এ জাতি অকৃতজ্ঞ হল আবার। 
যাদের‌ে উপাস্য ধরেছ আল্লাহ ছাড়া,
 জাহান্নামে কিছুই করিতে পারিবে না তারা ।

আল্লাহ সৃ‌জিয়াছ‌েন মানুষ শুক্রবিন্দু হতে,
 তর্ক করে বলে, "পঁচিলে অস্থিতে  প্রাণ দিবে কে?" 
যিনি প্রথমবার সৃজিয়া‌ছেন, তি‌নিই  দিবেন প্রাণ,
যিনি সবুজ বৃক্ষ হতে অগ্নি করেন উৎপাদন  ।
যিনি আকাশ পৃথিবী করেছেন সৃজন,
 তিনি অনুরুপ সৃষ্টিতে কি নহে সক্ষম ? 
তিনি "হও" বললে হয়ে যায়, মোরা অজ্ঞ, 
ফিরতে হবে তারই কাছে, তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ। 

 
 

১ নভে, ২০২০

অতুলনীয় সৃষ্ট‌ি - ক‌বিতা (সুরা ইয়াসিন ৩৩-৫০)

‌লেখক ~ বের‌সিক
(আল্ কুআন,সুরা ইয়াছ‌নি ৩৩ হ‌তে ৫০ অবলম্ব‌নে)


বিসমিল্লাহির  রাহমানির রাহিম ।
মৃত ভূমি জীবিত করেন শস্য ফলান মহামহিম ।
খেজুর - আঙ্গুর বাগানে ফলান দিয়ে পানির স্রোতে,
মনের সুখে খাও সেসব, তৈরী কি করেছ কি তোমাদের হাতে ?
উদ্ভিদ ,মানুষ ,আরো কত কী তৈরি করেছেন জোড়া,
চন্দ্র ,সূর্য ,গ্রহ নক্ষত্রের কক্ষপথ করেছেন খাড়া।
দিবারাত্রি মোদের লাগি বিশ্রামেরই ত‌রে,
দূর-দূরান্তে যেতে পারি যানবাহনে চড়ে ।
নৌযানে ঝড়ের কবলে ডাকি তারে বারে বারে ,
ভুলে যায় সেই স্রষ্টার, বিপদমুক্ত হলে পরে ।
 দুনিয়া আখিরাতের শাস্তির কর ভয় ,
উপদেশ আসলে মানুষ কেন এমন বিমুখ হয় ।
দানের কথা আসলে পরে ,কেন দিব ?কাফের বলে,
আল্লাহ তোমায় অর্থ দিলে, দানে তোমার মুক্তি মেলে ।
ওরা বলে ,কেয়ামতের অঙ্গীকার কখন পূর্ণ হবে ?
ভীষন গর্জন আসবে যবে ,পরিবারে ফেরার সময় নাহি পাবে ।

২২ অক্টো, ২০২০

স্মৃতি - কবিতা

লেখক - বেরসিক-. সময়কাল ১৯৮৪

হে অম্লান অক্ষয়ী স্মৃতি, 
তুমি আবহমান কাল ধরে, 
মানব মানস পটে জাগরুক থেকে
ঝরিয়েছ অশ্রু, ফুটিয়েছ হাঁসি অধরে। 
তুমি অতীত বরতমানের যোগ সুত্র,
তুমি আনন্দ, তুমি বেদনা মানব মনে।
কাজে উদ্দৌম আর হতদ্দৌম সৃষ্টিতে
তুমি অগ্রনী ভুমিকা কর পালন।
আমারে দিও তুমি প্রান শক্তি
শুধু মোর এই নিবেদন। 

১৯ অক্টো, ২০২০

আশা - কবিতা

লেখক -বেরসিক       সময়কাল১৯৮৪


হে মায়াবিনি আশা,
তোমার কোহেলিকা মহে 
আজ ও বেঁচে আছি এ ভবে,
তুমি বন্ধু, তুমি প্রিয়তমা নিঃসন্ধেহে।

তুমি পথ হারার দাও পথের সন্ধান, 
তুমি মুমূর্ষুর দাও প্রান। 
দুঃখের দিনের তরী তুমি,
তুমি হতাশার যান। 

হে প্রানবন্ত আশা, 
তোমার কুহুকে চলেছি ভেসে
কঠিন প্রস্তর প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে,
পৌঁছাবে কি মরে ? 
মনের কিনারে ভেসে থাকা 
ক্ষীণ আশার পাশে। 

তোমার মহে জগতের কে না ছুটেছে
ছাত্রের অধ্যায়ন,তাঁতীর বয়ন,
কর্মীর কর্ম ,ধার্মীকের ধর্ম
সবই তো তোমার মাঁয়ার বাঁধন ,
হে ছলনাময়ী, 
তোমার পরাজয় যেখানে 
আমাদের মরন সেখানে। 
তবুও হে মায়াবিনী আশা 
তোমারে  রাখিব স্মরনে। 


১৬ অক্টো, ২০২০

প্রতিশ্রুতি-কবিতা

লেখক- বেরসিক ১৯৮৪-৮৫

হে মহান স্বাধীনতা, তুমি বহু যুগের সাধনা,
শত মা-বোনের অশ্রুসিক্ত, বাষ্পাপ্লুত হ্রদয়ের বাসনা। 

শত শহিদের রক্তে রাঙ্গিয়ে, উড়ায়ে রঙ্গিন পতাকা,
মুক্ত করেছ পরাধীনতা, হে মহান স্বাধীনতা। 
তোমার শুভাগমনে, জাগিল মনে নতুন  উদ্দীপনা । 
শত সহস্র প্রতিজ্ঞা  মনে, অম্লান রাখিব তোমারে 
হে মহান স্বাধীনতা। 
 
See the source imageImage result for Bangladesh flag PNG

বেরসিকের পেনশন( Pension of witless)

 বেরসিক নাম যেন কেমন কেমন। তবে এটা তার আসল নাম নয়। কলেজ জীবন এ বন্ধুদের দেওয়া নাম। নতুন বছরে নতুন নামে ডাকা হবে তালিকায় পাওয়া নাম। বন্ধুরা লিখেছে - ছাত্র ভালো "বেরসিক"।

  শিশুকাল Childhood ঃ গ্রামের সবুজ  ঘন বনে ঘেরা ছোট্র কুটিরে কোন এক সোমবারে (মায়ের মুখ থেকে শুনা)  জন্ম বেরসিকের।সম্ভবতঃ ১৯৬৩ সন।বয়স যখন ৪/৫ বছর ভর্তি করা হল মাদ্রাসায়  ইসলামী শিক্ষার সাথে বাল্য শিক্ষা।  দাদা ও বাবা প্রথম শ্রেণীতে পড়া কালিন একদিন পর পর কলেরায় মারা যান। মা এবং দু'বছরের বড়ো ভাই এ-র তদারকিতে সংসার চলতে থাকে ,সংসারে সদস্য পাঁচ ভাই দুবোন । তিন মাস পরে ছোট ভাই মারা যায়। ১৯৭৩ সনে বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। আল্লাহ সে সময় তাদের সহায় হন।

স্কুল জীবন (School Life) : বাড়ী থেকে দুই কিলোমিটার দুরে প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে পড়াশুনা। প্রতিবারের মতো এবারও শ্রেনীতে প্রথম ও ৫ম শ্রেনীর বৃত্তি পেল। পায়ে জুতা ছাড়াই চলল ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত।  এবার ও বৃত্তি পেল। অবদান মা, বড়ো ভাই এবং শিক্ষক গণের। বেরসিক অনেকটা বোকা ও ছিল।
এস এস সি পরীক্ষার সময় কোন এক পীর সাহেব আসলেন স্কুলের সবাইকে বলা হল হুজুরকে ছালাম কর। বেরসিক ও করল। তার প্রিয় কাশেম স্যার ছিলেন এ কাজের ভূমিকায়। যা হোক পরীক্ষা হয়ে গেল। রেজাল্ট প্রথম বিভাগ।

কলেজ জীবন(College Life):
 তার এটা একটু কষ্টের জীবন ছিল।
১৯৭৯ সনে  এসএসসি পাশ করার পরে রাজবাড়ী সরকারী কলেজে ভর্তি হল। আত্নীয় বাড়ি, হোস্টেল এবং লজিং(সূর্যনগর)  থেকে ক্লাস করার ৪ মাস পরে বুঝল ভাবে পড়াশুনা সম্ভব নয়। বালিয়াকান্দি কলেজের অফার ফ্রি থাকা খাওয়া সহ লেখাপড়া করা যাবে।যে কথা সেই কাজ বালিয়াকান্দি কলেজে পুনরায় ভর্তি। ক্লাস চলতে থাকল  ৭ কিলোমিটার পায়ে হেটে বা বাইসাইকেলে। তার পরে একটি লজিং যা তিন মাস থাকা সম্ভব হয়েছিল। 


২য় পর্ব-
৭ কিলোমিটার হেঁটে, বাইসাইকেলে, পেয়িং গেস্ট থেকে অনেক কষ্টে  এইস এস সি  পরীক্ষা হয়ে গেল। ফলাফল দ্বিতীয় বিভাগ। এ্ই ফলাফলে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিল কিরন চৌধুরী। তবে কিরনের বোন মুসলিম হলেও কিরন অমুসলিম অবস্থায় মারা যাওয়ায় বেরসিকের মাঝে মাঝে  মন খারাপ হয়ে যায়।
এর পর অনার্সে ভর্তি কাহিনী আরও মজার তা লিখব অন্য দিন।


 ৩য় পর্ব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে দুইবার ফোন করেছিল পরিচিত একজনকে। ফলাফল জানায়নি। পরে পাংশা বিশ্ববিদ্যালয়ে          বি-এসসি ও ঢাকা টিটি কলেজ হতে বি-এড করে শিক্ষকতা করতে থাকে। এরই মধ্যে সরকারী চাকুরী হওয়ায় যোগ দেয় চাকুরীতে। আশা চাকুরী শেষে অবসর ভাতা পাওয়া যাবে।এখন পেনশনের জন্য টেনশন হল কোন হারে পাবে। সরকার মহা বিপদে। একবার বলছে, পুরো পাওনা একবারে, কখনো বলছে অর্ধেক নগদ অর্ধেক কিস্তিতে আবার কখনো বলছে পুরোটাই কিস্তিতে দিবে।বেরসিক এখন সেনাবাহিনীর পেনশন নিয়ে ব্যস্ত।
চলবে-

Feartured Post

কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে।

  কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে।

জনপ্রিয় পোস্ট