পারিবারিক সমস্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পারিবারিক সমস্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২৩ সেপ, ২০২৪

Lands Problems


তোমাদেরকে দুশ্চিন্তায় রাখার জন্য এ লেখা নয়।


১।আজ ২১/০৯/২০২৪ সুজনের সাথে কথা বলার পরে বলল, আমার কেন যেন কান্না আসছে। কারণ, সুজন জানিয়েছেন তুমি যদি আমাদের জন্য ঢাকা এসে আবার বাড়ি যাও, তাহলে আসার দরকার নেই, আমরা হোটেলে থাকবো।

২। আজ ২৩/০৯/২০২৪ দুখের দিন।আমার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে খারাপ লাগছিল। তার অনুরোধ রাখতে পারিনি। ভাইয়ের অনুরোধ তার ছেলের কাছে বিক্রি করা জমি রেজিষ্ট্রেশন করতে। আমার স্ত্রীর কথা আগে বাড়ির জমি বন্টন ও বাড়ির জমির পরিবর্তে মাঠে দিগুণ দিতে হবে। অথচ গ্রামের বাড়িতে যাইতে চায় না।ভাইয়ের কথা, আস বুঝে নেও।

৩। ২৫/০৯/২০২৪ ভাইয়ের উচিত আমরা যাই বা না যাই, আমাদের জমি ভাগ করে রেখে দিবে, যে পছন্দ করবে না সে কিভাবে নিবে বলবে।ইব্রাহিম এর ২৬ শতাংশ বাড়ি সহ, জালাল ১৪ শতাংশ, মুনসুর ২ শতাংশ বাড়ির ৫ বাদে। আমার বাড়ির জমির পরিবর্তে মাঠে দ্বিগুণ দিলে ভালো হয়।না দিলেও কিছু করার নাই, কারণ তার জমি সে চেঞ্জ করতে ও পারে নাও করতে পারে।

###

১।আমার বিক্রি করা জমি রেজিষ্ট্রেশন করা জরুরি প্রয়োজন। বিলম্বের কারণে আমাকে ক্রেতাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। 

২।মন্তাজ ভাই ১১ শতাংশ, কুদ্দুছ ৫.৪০ +২ =৭.৪০,ইব্রাহিম ২শতাংশ, মনছুর ২, বড় ভাই ২+সুকুর আলী ১.৪০, আশ্রাফ ৮.৮ শতাংশ । 

৩।মনছুর কুদ্দুছের কাছে ৫.৬ শতাংশ , ইব্রাহিম কুদ্দুছের কাছে ৫.৬ শতাংশ  পাওনা। বড় ভাই কুদ্দুসকে দেনা ৫.৬ শতাংশ, বড় ভাই কে মুনছুর দিবে ১.৪০ শতাংশ, বড় ভাই কে ইব্রাহিম দিবে ১.৪০ শতাংশ  যা শুকুর আলীর দখলে আছে।

৪। আমার ব্যাংক রিন ৯ লক্ষ,ব্যাংক চাহিবামাত্র দিতে হবে।

৫। বাড়ির জমি বড় ভাইয়ের সিদ্ধান্ত, বালিয়াকান্দির জমি তোমার  মায়ের সিদ্ধান্ত মতে হতে হবে।অবশ্য আমরা টাকা দিচ্ছি এদিকেও ভাবতে হবে।

৬। সকলকে পরকালের কথা মনে করাতে হবে।

৭। মনছুরের বাড়ি ৫ শতাংশ যা মনছুরের নামে। বড় ভাই বলছেন এটা সবাই ভাগ পাবে।আমি মনে করি কুদ্দুস কিনে দিয়েছে। এটা তার পাওনা।

৮। ৫ শতাংশ এবং সরকার বাড়ি ৩৭ শতাংশ  বাদে আমার মোট জমি ৫২.৫৩ শতাংশ। অন্য ভাইদের ৫২.৫৩+৯.২৫=৬১.৭৮ শতাংশ (৩৭ শতাংশ সহ)। 

৯। মনছুর ৮০০০/ টাকা পাবে,২০০০/২০০১ সালে নেওয়া। কয়েক বার দেওয়ার চেষ্টা করে ও দিতে পারিনি। 

১০।  মাথা ইদানিং হ্যাং হয়ে যায়। কাজ করে না, হতাশ হয়ে যাই, আল্লাহ হেফাজত কর।

১১। আমার সম্পদ সব নিজের হাতে নিচ্ছে। 

১২। আমার মোবাইল নিজের কন্ট্রোল এ রাখে।আমাকে কোথাও একা যাইতে দেয় না।বাজারে গেলে দ্রুত না এলে ফোন করে।আমার বালিয়াকান্দি  বাড়ির জমির খাজনা দিতে দেয় না। 

১৩। এল পি আর এ থাকার সময় আরিয়ানকে নিয়ে স্কুলে যেত না,আমাকে ও পাঠাত না।শুধু আমাকে পাহারায় রাখছে যাতে টাকা পয়সা কাউকে দিয়ে না দেই।এফ ডি আর করার সময় ওর নামে কিছু দিতে বলেছিল, তবে সব গুলো তে নমিনী করা আছে। কিছু দিন আগে এক লাখ ওর নামে দিয়েছি।আমার নামের ডিপিএস সবসময়ই বলে ওটাত তার।কেনা জমি সব ওর নামে দিতে বলে। অজুহাত খরচ কম হবে।আমার নামে ১০ শতাংশ জমি বর্তমান বাড়ি , গ্রামের বাড়িতে ১৩.৭ শতাংশ আছে।

১৪। বংশগত কারণে সব সময়ে কটু ভাষা ব্যবহার করে। মাঝেমধ্যে ভাবি হয়তো অনিচ্ছাকৃত। 

১৫। আমার বিক্রি করা জমি রেজিষ্ট্রেশন করব তাতে ওর আপত্তি কেন? ভাই ত বারবার বলে আয় তোদের টা কিভাবে নিবি নে।যদিও আমরা যে ভাবে চাব সেভাবে দিবে না।আমরা যদি না যাই, ঝগড়া করে আদায় না করি তাহলে ত সমাধান হবে না।তার অপরাধ তাকে পরকালে জবাব দিতে হবে এটা তাকে স্মরণ করাচ্ছি,করাতে হবে।আমি ক্রেতা কে যে কষ্ট দিব তার দায়িত্ব আমার। 

১৬। তোমাদের মা, তাই পাগল হলেও তোমরা খারাপ বা কটু ভাষায় কথা বলবে না। আল্লাহ পিতামাতার সাথে উহ শব্দ করতেও  নিষেধ করেছেন অর্থাৎ বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না।


০১/১১/২০২৪

১৭। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন।তারপর মা-বাবা বলে কথা।তোমার মা যেভাবে টাকা চাইল তা দু:খ জনক। তবে তুমি ধৈর্যের সাথ জবাব দিয়েছ।তাছাড়া বউদের কে এবং তাদের মা-বাবা কে মনে হয় সহ্য করতে পারেনা হয়তো খরচ বেশি করায়। হয়তো নিজের অভিজ্ঞতা। আমার সব কিছু তার তদারকিতে।জমি যা কেনা তার নামে। এখন জমি কেনার জন্য যে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া তাও তার দখলে। একারণে কিছু বলতে পারছি না আবার সহ্য করতেও কষ্ট হয়।আমার বাড়ির জমির ব্যাপার এ যা করছে তা ও সহ্য করার মত না।আল্লাহ ভরসা।০৮/১২/২০২৪

১৮। দোকানের সামনে ২.৫ শতাংশ, 

বাড়ি ২.৫ শতাংশ, বাশ বাগান ২.৭ শতাংশ,

 বাশ বাগানের উত্তর পাশে বাগান ২.৬ শতাংশ, 

বাশ বাগানের পশ্চিমে ১.৮ বা ২.৫ শতাংশ, 

পুকুর ১.৭ শতাংশ, অন্য সব নাল বা চাষের জমি।

মাঠে বা নাল বিক্রি মন্তাজ ভাই ১১ শতাংশ,

কুদ্দুস ১১ শতাংশ, চার ভাইকে ৮,  আশ্রাফ ৮.৮ শতাংশ  মোট ৩৮.৮ শতাংশ। 

মোট জমি ৫২.৫ শতাংশ। 

Chatgpt :

প্রশ্নের ভিত্তিতে সমাধানটি হতে পারে নিম্নরূপ:

১। সবার মূল জমির অংশ:যা আমার কাছে পাওনা। 

  • মন্তাজ ভাই: ১১ শতাংশ
  • কুদ্দুছ: ৭.৪০ শতাংশ
  • ইব্রাহিম: ২ শতাংশ
  • মনছুর: ২ শতাংশ
  • বড় ভাই: ২ শতাংশ
  • সুকুর আলী: ১.৪০ শতাংশ
  • আশ্রাফ: ৮.৮ শতাংশ।মোট 

২। দেনা-পাওনার ভিত্তিতে জমির অংশ পরিবর্তন:

  • মনছুর কুদ্দুছের কাছে ০.৬ শতাংশ জমি পাওনা।
  • ইব্রাহিম কুদ্দুছের কাছে ৫.৬ শতাংশ জমি পাওনা।
  • বড় ভাই কুদ্দুছের কাছে ৫.৪০ শতাংশ দেনা।
  • আমি কুদ্দুসকে দেনা ৫.৪০ শতাংশ। 
  • বড় ভাইকে মনছুর ১.৪০ শতাংশ জমি দিবেন।
  • বড় ভাইকে ইব্রাহিম ১.৪০ শতাংশ জমি দিবেন।
  • আমি বড় ভাই কে দিব ১.৪০ শতাংশ,  যা বর্তমানে  সুকুর আলীর দখলে রয়েছে।

৩। চূড়ান্ত হিসাব:

  • কুদ্দুছের মোট জমি থেকে মনছুর ও ইব্রাহিমের পাওনা ৫.৬ + .৬ = ৬.২ শতাংশ বাদ যাবে।
  • বড় ভাই ৫.৪ শতাংশ দেনা মেটানোর মাধ্যমে কুদ্দুছের জমি থেকে মুক্তি পাবেন।
  • মনছুরইব্রাহিম তাদের প্রাপ্য ১.৪০ শতাংশ জমি বড় ভাইকে দিবেন  , যা সুকুর আলীর দখলে আছে।

এই দেনা-পাওনার পরে জমির মালিকানায় পরিবর্তন আসবে এবং সঠিক অংশগুলো বুঝে নিতে হবে।

২০ সেপ, ২০২৪

My lands calculation Final

তোমাদেরকে দুশ্চিন্তায় রাখার জন্য এ লেখা নয়। শুধু জানার ও পরামর্শের জন্য। 
১।আমার বিক্রি করা জমি রেজিষ্ট্রেশন করা জরুরি প্রয়োজন। বিলম্বের কারণে আমাকে ক্রেতাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

 
২।মন্তাজ ভাই ১১ শতাংশ, 

কুদ্দুছ ৫.৪০ +২ =৭.৪০ শতাংশ ,

ইব্রাহিম ২ শতাংশ, 

মনছুর ২ শতাংশ , 

বড় ভাই ২+সুকুর আলী ১.৪০,

 আশ্রাফ ৮.৮ শতাংশ আমার কাছে পাবে ।

 
৩।মনছুর কুদ্দুছের কাছে ৫.৬ শতাংশ , 

ইব্রাহিম কুদ্দুছের কাছে ৫.৬ শতাংশ  পাওনা। 

বড় ভাই কুদ্দুসকে দেনা ৫.৪ শতাংশ, 

বড় ভাই কে মুনছুর দিবে ১.৪০ শতাংশ,

 বড় ভাই কে ইব্রাহিম দিবে ১.৪০ শতাংশ  যা শুকুর আলীর দখলে আছে।

(বড় ভাইয়ের কথা, 

আমি মনছুর ও ইব্রাহিম কে ৫.৪+৮.০=১৩.৪ শতাংশ দিলে ১৩.৪/২=৬.৭০  পাবে।কিন্তু তারা পাবে ৫.৬+২-১.৪ =৬.২ শতাংশ। 

বড় ভাই শুকুর আলীকে দিল ১.৪*৫=৭.০, কুদ্দুসকে দিবে ৫.৪+আমার ২ =৭.৪ শতাংশ।

বড় ভাই আমার কাছে পাওনা ২+কুদ্দুছের ২+১.৪=৫.৪ শতাংশ। যা আমি মনছুর বা ইব্রাহিম কে দিব। 

 কুদ্দুছ দেনা ৫.৬+৫.৬+১.৪=১২.৪,পাওনা ৫.৪+৫.৪+২=১২.৮।) 

৪। আমার ব্যাংক রিন ৯ লক্ষ,ব্যাংক চাহিবামাত্র দিতে হবে।
৫। বাড়ির জমি বড় ভাইয়ের সিদ্ধান্ত, বালিয়াকান্দির জমি তোমার  মায়ের সিদ্ধান্ত মতে হতে হবে।অবশ্য আমরা টাকা দিচ্ছি এদিকেও ভাবতে হবে।
৬। সকলকে পরকালের কথা মনে করাতে হবে।
৭। মনছুরের বাড়ি ৫ শতাংশ যা মনছুরের নামে। বড় ভাই বলছেন এটা সবাই ভাগ পাবে।
৮। ৫ শতাংশ এবং সরকার বাড়ি ৩৭ শতাংশ  বাদে আমার মোট জমি ৫২.৫৩ শতাংশ। অন্য ভাইদের ৫২.৫৩+৯.২৫=৬১.৭৮ শতাংশ (৩৭ শতাংশ সহ)।
৯। মনছুর ৮০০০/ টাকা পাবে,২০০০/২০০১ সালে নেওয়া জ। কয়েক বার দেওয়ার চেষ্টা করে ও দিতে পারিনি।
১০।  মাথা ইদানিং হ্যাং হয়ে যায়। কাজ করে না, হতাশ হয়ে যাই, আল্লাহ হেফাজত কর।
১১। আমার সম্পদ সব নিজের হাতে নিচ্ছে।
১২। আমার মোবাইল নিজের কন্ট্রোল এ রাখে।আমাকে কোথাও একা যাইতে দেয় না।বাজারে গেলে দ্রুত না এলে ফোন করে।আমার বালিয়াকান্দি  বাড়ির জমির খাজনা দিতে দেয় না।
১৩। এল পি আর এ থাকার সময় আরিয়ানকে নিয়ে স্কুলে যেত না,আমাকে ও পাঠাত না।শুধু আমাকে পাহারায় রাখছে যাতে টাকা পয়সা কাউকে দিয়ে না দেই।এফ ডি আর করার সময় ওর নামে কিছু দিতে বলেছিল, তবে সব গুলো তে নমিনী করা আছে। কিছু দিন আগে এক লাখ ওর নামে দিয়েছি।আমার নামের ডিপিএস সবসময়ই বলে ওটাত তার।কেনা জমি সব ওর নামে দিতে বলে। অজুহাত খরচ কম হবে।আমার নামে ১০ শতাংশ জমি বর্তমান বাড়ি , গ্রামের বাড়িতে ১৩.৭ শতাংশ আছে।
১৪। বংশগত কারণে সব সময়ে কটু ভাষা ব্যবহার করে। মাঝেমধ্যে ভাবি হয়তো অনিচ্ছাকৃত।
১৫। আমার বিক্রি করা জমি রেজিষ্ট্রেশন করব তাতে ওর আপত্তি কেন? ভাই ত বারবার বলে আয় তোদের টা কিভাবে নিবি নে।যদিও আমরা যে ভাবে চাব সেভাবে দিবে না।আমরা যদি না যাই, ঝগড়া করে আদায় না করি তাহলে ত সমাধান হবে না।তার অপরাধ তাকে পরকালে জবাব দিতে হবে এটা তাকে স্মরণ করাচ্ছি,করাতে হবে।আমি ক্রেতা কে যে কষ্ট দিব তার দায়িত্ব আমার।

১৬। তোমাদের মা, তাই পাগল হলেও তোমরা খারাপ বা কটু ভাষায় কথা বলবে না। আল্লাহ পিতামাতার সাথে উহ শব্দ করতেও  নিষেধ করেছেন অর্থাৎ বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না। ইদানিং বলছে,তার সাথে খারাপ কিছু হলে  তার সম্পদ দান করে দিবে,সেটা তার ব্যাপার। 




২৮ সেপ, ২০২২

বেরসিকের টুকরো খবর ঃ ডায়েরি।

 তারিখ - ১২/০৯/২০২২

স্ত্রীর আগের কিছু স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে মনে পড়ে গেল ঃ-

১) বেরসিক তার অফিসের স্যার কে সাথে একটি দামী শাড়ী কিনেছিল স্ত্রীর জন্য। স্ত্রী সেটি ফেরত দিয়ে নিজের পছন্দের নিয়েছিল ১৯৯২ সালের দিকে। 

২) একবার লাউ ছুড়ে ফেলেছিল পাকা বলে। অবশ্য পরে তা রান্না করে ছিল।

৩) আর একবার ঝগড়া করে মাছ ফেলে দিয়েছিল। 

৪) আরও একবার কাচা সব্জি ভালো না বলে ছুড়ে ফেলেছিল। অবশ্য পরে তা রান্না করে ছিল। 

৫) আর একটা ঘটনা বেরসিকের বাবা চাউল এনে দিয়েছিল বাজার থেকে। বলেছিল বাবা না আনলে চাউল ফেরত দিতাম ভালো নয়।

৬) বেরসিকের ছেলের বউ মরিচ ব্লেন্ড করে রেখেছিল। এবং একটু খারাপ হয়ে দেখাতে গিয়ে বেরসিকের গায়ে ছুড়ে মেরেছিল। 

এভাবেই এখনো প্রতিদিন হাজার ও আপত্তির মধ্যেই চলছে দিন।

সময় পেলে আরও কিছু বলবে অন্যদিন। 

২২/০৯/২০২২ তারিখ ঃ

 বেরসিকের রোজগারের টাকা খরচ করার পর হিসাব হয় খুব কড়া ভাবে। স্ত্রী  আগে হিসাব নিত স ভাই-বোন কে  দিয়ে দেয়  বেরসিকের রোজগারের টাকা খরচ করার পর হিসাব হয় খুব কড়া ভাবে। স্ত্রী  আগে হিসাব নিত স ভাই-বোন কে  দিয়ে দেয় কিনা বা  আবার কোন বিয়ে করে ফেলে কিনা? এখন হিসাব ন্যায় এগুলোর সাথে ছোট ছেলে এর দোকান থেকে কিছু কিনে খাওয়ার অভ্যাস, ক্ষুধা লাগলে সহ্য করতে পারে না। আজ বাজার করেছে ৪৩০/ টাকা। হিসাব খাতায় লেখা হয়েছে এবং অবশিষ্ট টাকা মিলিয়ে রাখা হয়েছে। 


  বেরসিকের রোজগারের টাকা খরচ করার পর হিসাব হয় খুব কড়া ভাবে। স্ত্রী  আগে হিসাব নিত স ভাই-বোন কে  দিয়ে দেয় কিনা বা  আবার কোন বিয়ে করে ফেলে কিনা? এখন হিসাব ন্যায় এগুলোর সাথে ছোট ছেলে এর দোকান থেকে কিছু কিনে খাওয়ার অভ্যাস, ক্ষুধা লাগলে সহ্য করতে পারে না। আজ বাজার করেছে ৪৩০/ টাকা। হিসাব খাতায় লেখা হয়েছে এবং অবশিষ্ট টাকা মিলিয়ে রাখা হয়েছে। 

 কিনা বা  আবার কোন বিয়ে করে ফেলে কিনা? এখন হিসাব ন্যায় এগুলোর সাথে ছোট ছেলে এর দোকান থেকে কিছু কিনে খাওয়ার অভ্যাস, ক্ষুধা লাগলে সহ্য করতে পারে না। আজ বাজার করেছে ৪৩০/ টাকা। হিসাব খাতায় লেখা হয়েছে এবং অবশিষ্ট টাকা মিলিয়ে রাখা হয়েছে। 

তার এল পি আর ছুটি চলছে,  ইচ্ছা মত ঘুরে ফিরে ছুটি ভোগ করা যাবে না।বোকাসোকা মানুষ কোথায় আবার ধরা খায় কে জানে। তাই সব সময় স্ত্রী চোখে-চোখে রাখছে। 

তারিখ -২৮/০৯/২০২২ ঃ-

বেরসিকের কিছু আপত্তি স্ত্রীর প্রতি -

১) উপার্জনের অর্থ খরচ স্ত্রীর হাতে হবে কেন? 

২) বাজার খরচের পর স্ত্রীকে হিসাব দিতে হবে কেন? 

৩) প্রভিডেন্ট ফান্ড এর বিভিন্ন সময়ে উত্তোলনের অর্থ এর ৩০ বছরের হিসাব স্ত্রীকে দিতে হবে।

৪) চুল পেকেছে বলে ছোট ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া যাবে না।বান্ধবীরা ভাববেন সেও বুড়ী হয়েছে। 

৫) বেরসিক একা ভাইদের বাড়িতে যেতে পারবেনা। ৬) স্ত্রীর বয়স বলা যাবে না। 

৭) বেরসিক ছেলেদের লেখা পড়ার সময়ে জমি বিক্রি করেছে তা স্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া লিখে দেওয়া যাবেনা। যা বেরসিকের জন্য বেদনাদায়ক। 

৮) মোঃ মন্তাজ ভাইয়ের নিকট ১১ শতাংশ, আঃ কুদ্দুসের নিকট  ১১ শতাংশ, মোঃ আশ্রাফের নিকট ৩৭৫০০০/ টাকা দরে ১৫০০০০/ টাকা। এবং শুকুর আলী নিকট ২/৩ শতাংশ। জমি বিক্রি করা হয় ২০০৯/২০১০ সালে।

 ১৯৯৭ সালে পারিবারিক জমি বিক্রয় করে ২৫০০০/ টাকা নেওয়া হয়।যা ১২ শতাংশ জমির বিনিময়ে।  কোনো ক্ষেত্রেই বাড়ির জমি বিক্রি করা হয় নাই। বড় ভাইয়ের মতামত অগ্রাধিকার দিতে হবে পরকালের দায়মুক্তির জন্য। 

০৯/ ০৯/২০২২ তারিখ ঃঃ-

স্ত্রীর আদেশ মোবাইল টিপা এবং বই পড়া যাবে না মাত্রাতিরিক্ত। 

১১/১০/২০২২ তারিখ ঃ-

সকালে বাজার শেষে হিসাব মিলছিল না। তার পর বেরসিকের স্ত্রী  চোটে গেল, বলল চাকরি যে ভাবে গোজামিল দিয়ে করেছ এখন ত সেভাবে গোজা মিল দিবা। যাক সব হিসাব শেষে যখন মিলল তখন আর কিছু বলল না।

বিকেলে ছেলেকে বলেছিল, বাসায় এসে কোচিং-এ যেতে হবে। কিন্তু কোচিং থেকে ফোন করে ছেলে বললো বাসায় আসবে না।বেরসিক বলল, আচ্ছা তোমার মাকে বলবো। তিনি নামাজ শেষে একচোট নিলেন বেরসিকের উপর। বলল আমি ত যাওয়ার সময় বলে দিয়েছি বাসায় এসে যেতে হবে, তুমি কেন আসতে বললে না।তার পর কথা বন্ধ।বেরসিক কে বলল তোমার সাথে আর পারছি না। বেরসিকের স্ত্রী লেখা-পড়া কম হলেও কথার চোট অনেক বেশী। বেরসিক স্ত্রীর চেয়ে ৪/৫ ক্লাস বেশী পড়েছে।

স্ত্রী বলে ও সব শিক্ষিতদের ভেলু দেই না। সে অনেকটা অশিক্ষিত লিডারদেরমত। অথচ বেরসিক এই শিক্ষা নিয়ে ছত্রিশ বছর ভালো ভাবে চাকুরির মেয়াদ শেষ করেছে এবং স্ত্রী  তার সুফল ভোগ করছে /করবে।

তারিখ- ১৮/১০/২০২২
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাতের ব্যথা অনুভব করায় মেঝছেলের উপর রাগ করে বলে আমার ভিসা এতো দেরি কেন? ছবি দিয়ে দাও আমার ভিসা আমিই করব।কারো লাগবে না।তারপর বেরসিক ভাত রান্নার সাদা চাউল ধুয়ে দিল। লাল চাউল ধুয়ে দিল না কেন সব ভাংচুর শুরু করে দিল।

তারিখ - ২১/১০/২০২২

ছেলে থাইল্যান্ড থেকে লাগেজ ব্ক্স নিয়ে আসে।তা মা পাওয়ার জন্য দাবী করে। কিন্তু স্ত্রী দিতে না চাওয়ায় মা অসন্তুষ্ট হয়ে আক্ষেপ করে। 

তারিখ - ২৭/১০/২০২২

বেরসিক কে মুক্তভাবে একা কোথাও কাজে বা প্রয়োজনীয় কাজে যেতে দেওয়া হয় না।আজ স্ত্রির ভাগ্নীকে কম্বল দিতে যাওয়া দরকার কিন্তু স্ত্রী সাথে যাবেই। রাত হয়ে যাওয়ায় আর সফর বাতিল।আগামীকাল ছেলে বা বেরসিক যাবে কারণ আগামীকাল স্ত্রী দেশের বাড়ি যাবে। দেখা যাক কি হয়।

তারিখ -২২/১১/২০২২

 বেরসিকের স্ত্রীর খামখেয়ালি মেজাজ, বলল দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাবে না এখন। ছেলের পরীক্ষার পর ইন্ডিয়া থেকে ঘুরে এসে রাকিবের কাছে যাবে। অথচ দাতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরী। 

তারিখ ০৪/১১/২০২৪

সকালে খাবার সময় বলল,আর লাগবে, বললাম, না।বলল,আমাকে কিছু দাও।তুলে দিলাম।পরক্ষনেই ভাত আমার দিকে ছুড়ে মারল।রাগ করলাম। মন খারাপ হল।

০৫/১১/২০২৪

সবজি বাজার পছন্দ হয়নি, তাই বরবটি ছুড়ে ফেলে দিল।এমন ঘটনা নতুন নয়।এর আগে চিচিঙ্গা, লাউ,শাড়ি ইত্যাদি ছোড়াছুড়ি দেখার অভিজ্ঞতা আছে। তাছাড়া চোখ রাংগানি, কটুকথা অহরহ হয়ে থাকে। 

০৯/০৯/২০২৫

গতকাল বড় বউ মা ফোন দিয়ে তার শাশুড়ি কে কুশল বিনিময়ের সময় রান্না খাওয়া ও কাজ নিয়ে কথা বলে। কাজের লোক এর ও রান্নার কথায় বলে ফেলে আপনার কথায় রসকষ নাই।আরও এক বার বলে আপনার ত শোকর আদায়ের করেন না।আর এতেই শাশুড়ি কান্নাকাটি শুরু করে। তার কথা বউদের ভালো বাসার এই প্রতি দান।আরও একবার বলে ছিল সুখে থাকতে ভুতে কিলায়।সত্যিই কথা গুলো দু:খ জনক।এমনিতেই ছোট ছেলে নিয়ে মহা বিপাকে। ঠিক মত পড়াশোনা করে না, মোবাইল আসক্তি। ঘুম ও সাস্থ্যগত সমস্যায় টেনশনে। এ ভাবে না বললে ভালো হতো। 

(((গতকাল  ফোন দিয়ে তোমার  শাশুড়ি কে কুশল বিনিময়ের সময় রান্না খাওয়া ও কাজ নিয়ে কথা বলে। কাজের লোক এর ও রান্নার কথায় বলে ফেলে আপনার কথায় রসকষ নাই।আরও এক বার বলে আপনি ত শোকর আদায়ের করেন না।আর এতেই শাশুড়ি কান্নাকাটি শুরু করে। তার কথা বউদের ভালো বাসার এই প্রতি দান।আমি ওদের অনেক ভালো বাসি।অন্যান্য বউ শাশুড়ির চেয়ে আমরা কত ভালো আছি।আরও একবার বলে ছিল সুখে থাকতে ভুতে কিলায়।সত্যিই কথা গুলো দু:খ জনক।এমনিতেই নিজের শরীর খারাপ।ছোট ছেলে নিয়ে মহা বিপাকে।  ঠিক মত পড়াশোনা করে না, মোবাইল আসক্তি। ঘুম ও সাস্থ্যগত সমস্যায় টেনশনে। এ ভাবে না বললেই ভালো হতো মা।তোমার শশুর।)))

১২/০৯/২০২৫

আম্মু, তোমার মায়ের রাগ যাচ্ছে না।মাঝে মাঝেই মনে পড়লে কান্না করে।আমি বললাম, ওতো সরি বলছে। বলে যে ওতো আমাকে সরি বলে নাই। তুমি সুযোগ মত ক্ষমা চেয়ে নিও।ফোন দিও।দোয়া করো যাতে ভালো থাকি।

Feartured Post

এসএসসি সকল বিষয় পাস নম্বর কত ? সৃজনশীল নৈব্যক্তিক

বাংলা ১ম পত্র – সৃজনশীল ২৩ নম্বরে পাশ বহুনির্বাচনী ১০ নম্বরে পাশ বাংলা দ্বিতীয় পত্র – নির্মিত অংশ 23 নম্বরে পাশ বহুনির্বাচনি অংশ ১০ নম্বরে ...

জনপ্রিয় পোস্ট