৩। বেরসিকের আতংক, কি জানি কখন মেজাজ বিগড়ে যাবে। ঃ-
একবার বেরসিককে তার স্ত্রী বলল, আমার গামছা কেউ ব্যবহার করবে না। ঠিক ঠিক বেরসিক স্ত্রীর গামছা ব্যবহার করেনি। দুদিন পর স্ত্রী দেখল সে গামছা ব্যবহার করেনি। সে অমনি গামছাটা টেনে ছিড়ে ফেলল। এবং বলল, আমি বলেছি আর তাই তুমি গামছা ব্যবহার করনি আমি ও ব্যবহার করবো না।
৪। বেরসিকের দুর্দিন ঃ
করোনার ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বেরসিক অফিস বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। কয়েকদিন পর অফিসের বড় বস ফোন করে বললেন অনেক দিন ছুটি হয়ে গেল। আপনি তাড়াতাড়ি অফিসে যোগ দেন। এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। স্ত্রী বলল, আরো একদিন থেকে যাও। বেরসিক এতে স্ত্রীকে বকা দিল।আর তাতেই হল সর্বনাশ । বেরসিকের স্ত্রী প্রায় এক সপ্তাহ হল কথা বন্ধ করে দিয়েছে।
বেরসিক অফিসের উদ্দেশ্যে পরের দিন ভোর চারটায় অটো রিকশা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ১৪০ কিলোমিটারের পথ। পরে ফেরি, কুরিয়ার সারভিসের গাড়ি, রিকশা,বাস এবং হেটে ই ঢাকায় পৌঁছান।
এদিকে স্ত্রী বলেছে বেরসিক চাকুরী থেকে অবসর না নেওয়া পর্যন্ত কথা বলবেনা। আর বেরসিক ভাবছে চাকরি থাকা কালিন এমন ব্যবহার। চাকরি না থাকলে তো পাত্তাই দিবে না। বুড়ো বয়সে এ জ্বালা সহ্য হবে তো?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন