১২ ফেব, ২০২১

আমার অবসরজনিত বিদায়ী বক্তব্য



আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
অদ্যকার বিদায়ী সভার সভাপতি মাননীয় উপ-মহাব্যবস্থাপক ও উপস্থিত সহকারী মহাব্যবস্থাপক এবং আমার শ্রদ্ধেয় ও প্রাণপ্রিয় কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। 
অদ্যকার বিদায়ী সভা বদলি জনিত  নয়, অবসরজনিত। তাই আমার মন ভারাক্রান্ত। এ প্রতিষ্ঠানে আর কাজ করতে আসব না। কিন্তু দীর্ঘ ৩২ বছর কর্মজীবনের প্রতিষ্ঠান এবং এর সহকর্মী ভাই-বোনদের এত ভালোবেসে ফেলেছি যে ছেড়ে যেতে মন চায় না কিন্তু নিয়ম এটাই। কোন অকর্মণ্য মানুষ বা কর্মীকে প্রতিষ্ঠানে কেন আল্লাহ দুনিয়ায় ও রেখে দেন না অনন্ত কাল। আমার কর্মজীবনের অল্প কিছু ঘটনা তুলে ধরতে চাই। 
১৪/১২/১৯৮৯ তারিখে ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে আমি যোগদান করি। 21/12/ 89 এ প্রথম যেদিন অগ্রণী ব্যাংক ভাংগা শাখা, ফরিদপুরে যোগদান করি একজন গার্ড যে ক্যাশিয়ার কে টাকা গণনায় সহযোগিতা করত, আমাকে হাতে ধরে টাকার বান্ডিল কিভাবে গুনতে হয় শিখিয়েছিল। সেই মুজিবুর রহমানকে আজও ভুলতে পারিনি। আল্লাহ তার আত্মার শান্তি দিক। 
এখানকার আরো দুটো ঘটনা না বললেই নয়।
 ১) একবার এক ঠকবাজ একজন বৃদ্ধকে ছোট নোট (10 টাকার নোট) বড় নোট করে দেবে (100 টাকার) নোট এ  বদল করতে গিয়ে ঠকাচ্ছিল। কিন্তু আমাদের ক্যাশ কালাম ভাই নামে পরিচিত সহকর্মী বিষয়টি টের পেয়ে ধরে ফেলেন। 
২) অন্য ঘটনা দুঃখজনক। মাদারীপুরের এক ঠকবাজ ভাঙ্গা থানায় গ্রাম্য লোকদের নিয়ে একটি সমিতি গঠন করে। ঋন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে অল্প অল্প করে টাকা জমাতে থাকে। বলেছিল যা জমাবেন তার তিনগুণ ঋণ দিবেন। এদিকে একাউন্ট খোলার সময় সমিতির লোকদের থেকে দুজনের নামে হিসাব খুললেও কোন এক ফাঁকে নিজেই স্বাক্ষর  করে নমুনা স্বাক্ষর কার্ড এ। সমিতির লোকদের যখন ৪০/৫০ হাজার টাকা জমে তখন মাদারীপুর শাখার একটি চেকে টাকা লিখে ওদের দেয় আনার জন্য  । ওরা ওখানে গিয়ে দেখে হিসাবে মাত্র ৮০ টাকা আছে। নিয়মবহির্ভূত চেক বই প্রদান এবং ভাঙ্গা শাখার হিসাব খোলার দায়িত্ব অবহেলায় সর্বনাশ হল। এদিকে ঠকবাজ জমানো টাকা ভাঙ্গা শাখা থেকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয়। 
আমাদের ব্যাংকের লোকদের দ্বারা ও অনেক জালিয়াতির ঘটনা দেখেছি যা আমাদের প্রধান কার্যালয়ের নেতা বা স্যারদের অবহেলায় দুষ্কৃতকারী  পার পায় এবং নতুন ঘটনা ঘটে। 
একবার পি সিএমডি কার্যালয়ের তারেক স্যার কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ব্যাংকে কর্মরত চোর কেন রক্ষা পায় ?উনার জবাবে আমি খুশি হই নি। উনি জবাব দিয়েছিলেন সাথে অনেক নিরীহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষতি হয় তাই ছাড়া পায় ছোটখাটো শাস্তির বিনিময়। 
যাহোক আমি কুর্মিটোলা শাখায় ৩১/০৭/২০০৭ এ যোগদান করে ক্যাশ সেকশনে দু'বছর এবং জেনারেল ব্যাংকিং ও পেনশন সেকশনে ৬ বছর থাকার পর 2015 সালে আর্মি পেনশন সেলে আসি। আমার দীর্ঘ কর্ম জীবনের সবচেয়ে বেশি সময়ের সাথী হিসেবে পেয়েছি যাদের তারা হলেন-মোঃ হাবিবুর রহমান ভাই, মোঃ রেজাউর রহমান ভাই,  মোঃ আক্তারুজ্জামান ভাই এবং মোঃ নজরুল ইসলাম স্যার। দীর্ঘ ৯ বছর এদের সাথে চাকরি করে এদের সাথে আমার কখনও মনোমালিন্য হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না। তবুও যদি কখনো কষ্ট দিয়ে থাকি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যাতে পরকালে  ঠেকে না যাই । এদের কাছ থেকে কম্পিউটার বিষয়ে, ধর্মীয়   বিষয়ে এত অনুপ্রেরণা পেয়েছি যা আমার আমৃত্যু  মনে থাকবে। তাছাড়া যাদের সাথে কাজ করেছি এবং একসাথে চলাফেরা করেছি যদি কোনো কারণে কাউকে মনের অজান্তে বা জেনে কষ্ট দিয়ে থাকি ক্ষমা করে দিবেন এবং দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে মাফ করে দেন। 
আমরা মুসলমান এবং আমাদেরকে কেন আল্লাহর হুকুম পালন করতে হবে এ বিষয়ে আমরা সবাই অনেক কিছু জানি। কিন্তু আমার কাছে যা মনে হয় তা হল - আল্লাহ সূরা মূলক এ উল্লেখ করেছেনঃ- বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
 আয়াত (১) "অতি মহান ও শ্রেষ্ঠ তিনি( আল্লাহ) যার হাতে রয়েছে সমগ্র বিশ্ব জাহানের কর্তৃত্ব। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। 
আয়াত (২)ঃ- কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল ও। 
আয়াত (৩)ঃ-তিনিই স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাতটি আসমান তৈরি করেছেন। তুমি রহমানের সৃষ্টিকর্মে কোন প্রকার অসঙ্গতি দেখতে পাবে না। আবার চোখ ফিরিয়ে দেখো কোন ত্রুটি  দেখতে পাচ্ছো কি? "

আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই। এ কথার সাথে যুক্তি প্রমাণ ও দেখিয়ে দিচ্ছেন যে তিনিই একমাত্র উপাস্য, সর্বশক্তিমান। কুরআন-হাদিস অনুযায়ী আমরা জীবন যাপন করলে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবেন। না হলে দোজখের আজাব এত ভয়াবহ তা কল্পনাও করা যায় না। কারণ আমাদের আত্মার বিনাশ নেই। এ বিষয়ে আল্লাহ বারবার সতর্ক করেছেন  । 
আর আল্লাহ আমাদের সকল কাজ দেখছেন। আমাদেকে অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

   আর সময় নেবো না। আপনাদের ও আমার অবশিষ্ট জীবন ও পরকালের জীবন সুন্দর, সুখী ও মঙ্গলময় হোক এ কামনা করে শেষ করছি। 
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
 

বিদায়ী স্যারের উদ্দেশ্যে বক্তব্য।




অদ্যকার বিদায়ী সভার সভাপতি মাননীয় উপ-মহাব্যবস্থাপক, উপস্থিত সহকারী মহাব্যবস্থাপক এবং আমার শ্রদ্ধেয় ও প্রাণপ্রিয় কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। 
অদ্যকার বিদায়ী স্যার জনাব মোঃ লোকমান হোসেন বদলী জনিত কারণে আমাদের মাঝ থেকে তার নতুন কর্মস্থলে যাবেন। আমাদের সাথে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন নিরলস ও দক্ষতার সাথে। তার কাজের প্রতি আগ্রহ গুছিয়ে কাজ করার এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরে আমি গর্বিত। বিদায়ী স্যার কে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। কাজে ও কর্মে আমরা কে উত্তম যার বিচার-বিশ্লেষণ তিনি কেয়ামতের দিনে করবেন এবং পুরস্কার দিবেন। আল্লাহ ওয়াদার খেলাফ করেন না। 
আমাদের নিয়োগকৃত  কর্তৃপক্ষ ভালো কাজই চান। যদিও সব মন্দ কাজ গুলো কর্তৃপক্ষ দেখতে পান না কিন্তু আল্লাহ দেখতে পান।
 বিদায়ী স্যারের প্রতি ছোট্ট একটা অনুরোধ- কখনো হতাশ হবেন না। আল্লাহর রহমত থেকে কাফের- মুনাফিক ছাড়া কেউ হতাশ হয় না। 
পরিশেষে বলব, দীর্ঘ কর্মজীবনে স্যারকে কোন প্রকার কষ্ট দিলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং নতুন কর্মস্থলে এবং পারিবারিক জীবনে সুন্দর ও সুস্থ কর্মময় সময় কাটুক আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি। দুনিয়া ও আখেরাতের মঙ্গল কামনা করে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।  
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। 

৫ ফেব, ২০২১

বেরসিকের টুকরো খবর

 । বেরসিকের আতংক, কি জানি কখন মেজাজ বিগড়ে যাবে। ঃ-

একবার বেরসিককে তার স্ত্রী বলল, আমার গামছা কেউ ব্যবহার করবে না। ঠিক ঠিক বেরসিক স্ত্রীর গামছা ব্যবহার করেনি। দুদিন পর স্ত্রী দেখল সে গামছা ব্যবহার করেনি। সে অমনি গামছাটা টেনে ছিড়ে ফেলল। এবং বলল, আমি বলেছি আর তাই তুমি গামছা ব্যবহার করনি আমি ও ব্যবহার করবো না। 

৪। বেরসিকের দুর্দিন ঃ

  করোনার ঊর্ধ্বগতির  মধ্যে বেরসিক অফিস বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। কয়েকদিন পর অফিসের বড় বস ফোন করে বললেন অনেক দিন ছুটি হয়ে গেল। আপনি তাড়াতাড়ি অফিসে যোগ দেন। এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। স্ত্রী বলল, আরো একদিন থেকে যাও। বেরসিক এতে স্ত্রীকে বকা দিল।আর তাতেই হল সর্বনাশ । বেরসিকের স্ত্রী প্রায় এক সপ্তাহ হল কথা বন্ধ করে দিয়েছে। 

বেরসিক অফিসের উদ্দেশ্যে পরের দিন ভোর চারটায় অটো রিকশা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ১৪০ কিলোমিটারের পথ। পরে ফেরি, কুরিয়ার সারভিসের গাড়ি, রিকশা,বাস এবং হেটে ই ঢাকায় পৌঁছান। 

এদিকে স্ত্রী বলেছে বেরসিক চাকুরী থেকে অবসর না নেওয়া পর্যন্ত কথা বলবেনা। আর বেরসিক ভাবছে চাকরি থাকা কালিন এমন ব্যবহার। চাকরি না থাকলে তো পাত্তাই দিবে না। বুড়ো বয়সে এ জ্বালা সহ্য হবে তো?  


 

২০ ডিসে, ২০২০

বেরসিকের টুকরো খবর ঃ

এক সকালে বেরসিক মোবাইলে আল কুরআন পড়ছিল।  স্ত্রী বলল, তুমি মোবাইল চালাচ্ছ অথচ আমাকে একটু সময় দিচ্ছ না। বেরসিক বলল, আমি কুরান তেলাওয়াত করছি। কিন্তু কে শুনে কার কথা। বলল, মোবাইলে কুরান পড়তে হবে কেন?  বেরসিক তাড়াতাড়ি মোবাইল বন্ধ করে দিল। 

স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বেরসিকের কবিতা ঃ-

তুমি না থাকলে আমি হয়ে যাই এলো মেলো,

অফিসে যাওয়ার সময় চুল দাঁড়ি থাকে অগোছালো।

তুমি বলে দিতে শারট প্যান্টএর বোতাম খোলা,

গায়ে তেল মাখানো মনে করে দিতে হলো।

এ সব কিছু কি যায় ভোলা,

তুমি না থাকলে আমি পাগল পোলা।

যতই মেজাজ দেখাও কি না,

তুমি না থাকলে আমার কেন যে চলেনা।

২১ নভে, ২০২০

ব্ল‌গিং

  ব্লগ কি এবং কিভা‌বে ব্লগ তৈরি করব? ব্লগ লেখার নিয়ম:

 ব্লগ শব্দটি ইংরেজি Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ, যা এক ধরণের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি Blog শব্দটি Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। 

কিভাবে ব্লগ তৈরি করব? 
ব্লগ স্পটে ফ্রি ব্লগ করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি গুগল একাউন্টের প্রয়োজন হবে। gmail.com থেকে আপনি বিনামূল্যেই একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। 
২) সাইনআপ কম্প্লিট হলে ওপেন করুন http://blogger.com। ব্লগারের লগইন পেজে গুগলের আইডি ব্যবহার করে লগইন করতে হবে।

৩) ঠিক ঠাক মত লগইন করতে পারলে Sign up for Blogger পেজ আসবে এবং আপনাকে Display name দিতে বলবে। ডিসপ্লে নামটি মূলত ব্লগে আপনার নিক হবে। এটি যেকোন সময় পরিবর্তন করা যায়। সুতরাং যেকোন একটি দিয়ে ফেলতে পারেন। নাম দেয়া হলে Terms of Service পড়ে যদি মানতে রাজী হন তাহলে Acceptance of Terms এর চেকবক্সে ক্লিক করে Continue করুন।

 ৪) এবার ব্লগস্পট আপনাকে Dashboard পেজে নিয়ে যাবে যেখান থেকে আপনি Create your blog now এ ক্লিক করে ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। তাহলে ক্লিক করুন Create your blog now লিংকে।

 ৫) ব্লগস্পট আপনাকে এবার Name your blog পেজে নিয়ে আসবে যেখানে আপনি আপনার Blog title ও Blog address (URL) ঠিক করবেন।একটি বিষয় মাথায় রাখুন যে গুগল বা ইয়াহুর মত ব্লগস্পটেও বেশীর ভাগ নাম দখল হয়ে গিয়েছে। সুতরাং Blog address (URL) এ কোন নাম দেয়ার পর Check Availability এ ক্লিক করে দেখে নিন। 

৬) ব্লগস্পট এবার আপনাকে Choose a template পেজে নিয়ে যাবে যেখান থেকে আপনার রুচিমত একটি টেমপ্লেট নির্বাচন করে Continue করতে পারেন। Template যেকোন সময়ই পরিবর্তন করা যায়। সুতরাং এটি নিয়ে খুব বেশী না ভেবে আপাতত একটি নিয়ে ফেলুন।৭) সবঠিক ঠাক মত সম্পন্ন হলে Your blog has been created! ম্যাসেজ পাবেন আরেকটি পেজে। Start posting এ ক্লিক করে ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন। 
 ৫ নং ধাপে আপনি যে Blog address (URL দিয়েছিলেন, সেটি আপনার ব্লগ লিংক।যেমন আমার ব্লগস্পট লিংক হলো http://smjuddin.blogspot.com
 ব্লগ লেখার নিয়ম‌ে  নাগরিক সাংবাদিকতার পরিসর যথেষ্ট বিস্তৃত এবং সূক্ষ্ণ। তাই নাগরিক সাংবাদিকতার বৈচিত্র্যতা থেকে লেখার বিষয় নির্বাচনের দ্বায়িত্ব আপনার। ব্লগ টিম অবশ্যই ক্ষেত্র বিশেষে বা প্রয়োজনে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত বিশ্লেষণে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করবে। ব্লগ টিম তাই নিয়মিত পোস্টগুলো ছাড়াও ফিচার পোস্ট, টপ পোস্ট, বিভিন্ন বাংলা ব্লগগুলোর সাম্প্রতিক পোস্টগুলো নিয়ে কমিউনিটি পোস্ট, সাম্প্রতিক খবর নিয়ে নিউজ পোস্ট ও গ্লোবাল ভয়েসেস ক্যাটাগরিগুলোর প্রতি ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।ব্লগে লেখার সময় অবশ্যই কপি-পেস্ট  করবেন না। 
 যে কোনো বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: smjuddin1963@gmail.com

 


ব্লগ থে‌কে আয় কিভা‌বে কর‌বেন?

      ব্লগ শুরু করার সময়   Terms and condition ভালভা‌বে দে‌খে নি‌বেন ।
       কিছু দিন আ‌গেও নিজের লেখা গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ছিল বেশ কঠিন । আর এই লেখা থেকে আয়? সে সুযোগ হয় ক'জ‌নের। ঘরে ঘরে ইন্টারনেট আসার হাত ধরেই এসেছে ব্লগিং। নিজের মতামত, লেখা, ছবি সবকিছুই মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সহজ উপায় ব্লগ। নিয়মিত লিখতে লিখতে তৈরি হয়ে যায় পাঠককূলও।  এই ব্লগই হয়ে উঠতে পারে আপনার আয়ের উৎস। অনেকেই বলে থাকেন, বাংলা‌দে‌শে এখনও ব্লগ থেকে যথেষ্ট আয়ের সুযোগ নেই। কিন্তু এই দেশেই এমন ব্লগাররা রয়েছেন যারা তাঁদের ব্লগ থেকেই আয় করছেন হাজার হাজার টাকা।
      জানতে হবে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি, আর তাহলেই আপনার ব্লগটিই হবে আপনার ভবিষ্যতের আয়ের পথ। 
        বিজ্ঞাপন প্রকাশ সবথেকে সহজ ও প্রচলিত উপায় । যদি আপনি প্রথমবার আপনার ব্লগ থেকে আয়ের কথা ভাবেন তাহলে বেছে নিন এই উপায়টিই। সারা পৃথিবীতেই ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে তা থেকে আয় একটি চালু উপায়। 
        আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করুন, পাঠক যদি সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন তাহলেই মিলবে কমিশন।

         প্রথমেই বেছে নিন একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। ব্লগার এবং বিজ্ঞাপনদাতা উভয়ের মধ্যেই সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কটি হল গুগলের AdSense। তাছাড়া BidVertiser, Infolinks এর মতো অন্য নেটওয়ার্কও। 
         আপনার পছন্দের নেটওয়ার্কে বিজ্ঞাপন প্রকাশক হওয়ার জন্য আবেদন করুন। অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে আপনার ব্যাঙ্ক আকাউন্ট, যেখানে কমিশনের টাকা পাঠানো হবে তার বিবরণও দিতে হবে আবেদনপত্রে, তাই সেই বিবরণ তৈরি রাখুন। আপনার আবেদন মঞ্জুর হলে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের তরফ থেকে তা জানিয়ে আপনাকে একটি মেল করা হবে।  এরপর আপনাকে পাঠানো হবে বিজ্ঞাপন কোড যা আপনি আপনার ব্লগে প্রকাশ করবেন।   আপনি বিজ্ঞাপন লেখার মাঝে বা লেখার পাশের বারে রাখতে পারেন। আপনি বিজ্ঞাপন কোডটি ঠিক স্থানে রাখার ক‌য়েক ঘন্টার মধ্যেই বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে তা আপনার ব্লগে প্রকাশ করা হবে এবং বিজ্ঞাপনটি আপনার ব্লগে দেখাবে। এবার আপনার পাঠকরা ওই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই পয়সা জমা পড়বে আপনার অ্যাকাউন্টে। কত টাকা পেতে পারেন প্রতি ক্লিকে ০.০১ থেকে ৫০ ইউএস ডলার পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। 
       আপনার ব্লগের বিষয়ের ওপরই নির্ভর করে  আয়, কারণ ব্লগের বিষয়ের ভিত্তিতেই দেওয়া হয় বিজ্ঞাপন। আপনার আয়ের পরিমাণ নির্ভর করছে কতজন বিজ্ঞাপনটি ক্লিক করছেন তার ওপর। বেশি আয় করবেন কীভাবে- আপনার ব্লগে কোন জায়গায় বিজ্ঞাপন দিলে সবথেকে বেশি পাঠকের চোখে পড়বে ও তাঁরা তা ক্লিক করতে উৎসাহিত হবেন, সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। ঠিক করুন বিজ্ঞাপনের ধরণও। যেমন কোনও ব্লগে ছবিসহ বিজ্ঞাপনে বেশি ক্লিক হয় আবার অন্য কোনও ব্লগে, লেখা বিজ্ঞাপনের পাঠক বেশি। 

       মার্কেটিং অ্যাফিলিয়েট বেশ ভালরকমের আয় হতে পারে এই উপায়। ব্লগে লেখার মাধ্যমে কোনও একটি পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করতে হবে আপনাকে। পণ্য বা পরিষেবাটি বাছার বিষয় সতর্ক হোন। আপনার পাঠকরা কী কিনতে চাইতে পারে সেটি বুঝে নিতে হবে আপনাকে। এরজন্য প্রয়োজন গবেষণা ও বিশ্লেষণ।  কীভাবে কাজ করে- লেখার সঙ্গে পণ্য বা পরিষেবাটির লিঙ্ক আপনার ব্লগে প্রকাশ করতে হবে। যখন পাঠক সেই লিঙ্কে ক্লিক করবেন বা কিনবেন আপনি কমিশন পাবেন। আপনার ব্লগে কীভাবে এটি ব্যবহার করবেন-  প্রথমেই বেছে নিন কোন পণ্য বা পরিষেবার মার্কেটিং করতে চান। কয়েকটি প্রচলিত অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হল Clickbank, Trootrac media। এছাড়াও ফ্লিপকার্ট বা আমাজনের মতো কোম্পানিতে মার্কেটিং অ্যাফিলিয়েট হিসেবে সরাসরি যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। পছন্দের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন পত্র পূরণ করুন। আপনি মার্কেটিং-এর জন্য কী কী কৌশল ও পদ্ধতি ঠিক করেছেন, তা জানাতে হতে পারে আবেদনের সময়।  বেশিরভাগ ওয়েবসাইটই ২৪-৭২ ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় আপনার আবেদন গৃহীত হল কি না। আবেদন গৃহীত হলে আপনার অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্টটিতে লগ-ইন করে বেছে নিতে পারেন আপনার ব্লগের জন্য উপযুক্ত লিঙ্কটি। উপযুক্ত লিঙ্ক বা বিজ্ঞাপনটি আপনার ব্লগে যোগ করার পর দেখে নিন তা ঠিক মতো কাজ করছে কি না। অ্যাফিলিয়েট হিসেবে আয় করার জন্য আপনি এবার প্রস্তুত। এরপর যখনই কেউ ওই লিঙ্কে ক্লিক করবে অথবা পণ্য বা পরিষেবাটি কিনবে আপনি তা থেকে কমিশন পাবেন। কত টাকা পেতে পারেন- বিক্রয়মূল্যের ২.৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ অবধি পেতে পারেন আপনি। কমিশনের মূল্য নির্ভর করে পণ্য বা ওয়েবসাইটের ওপর। যেমন আপনি যদি ফ্লিপকার্টের বিজ্ঞাপন দেন, তাহলে কোনও ক্রেতা মোবাইল ফোন কিনলে আপনি যে কমিশন পাবেন, তার থেকে অনেক বেশি কমিশন পাবেন কেউ জামাকাপড় কিনলে। বেশি আয় করবেন কীভাবে- আপনার পাঠকের কথা মাথায় রেখে পণ্য বা পরিষেবা নির্বাচন করুন। যে জিনিসের বিক্রি বেশি তার কমিশন কম, তাই পণ্য বা পরিষেবা নির্বাচনের সময় এমন জিনিস বাছুন যা তুলনামূলকভাবে কম বিক্রি হয় কিন্তু আপনার পাঠক তা কিনতে উত্সাহী। 

      নিজের পণ্য বিক্রি সবথেকে স্থায়ী ও নিশ্চিত আয়ের পদ্ধতি ব্লগের সাহায্যে নিজের পণ্য বিক্রি করা। এক্ষেত্রে আয়ের ওপর সবথেকে বেশি নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব। যেহেতু পণ্য ডিজাইন, দাম নির্ধারণ, মার্কেটিং পুরোটাই ব্লগার নিজে করেন তাই আয়ও তাঁর ওপরই নির্ভর করে। কীভাবে কাজ করে- নিজের দক্ষতা অনুযায়ী একটি পণ্য বা পরিষেবা তৈরি করুন। তারপর ব্লগের মাধ্যমে সেটি বিক্রি করুন। আপনার ব্লগে কীভাবে এটি ব্যবহার করবেন- নিজে হাতে বা কাউকে দিয়ে কোনও একটি পণ্য বা পরিষেবা তৈরি করুন। ইবুক, ভিডিওকোর্সের মত ডিজিটাল পণ্য বা বই, কুকি ইত্যাদি যা ইচ্ছে তৈরি করতে পারেন আপনি। পণ্য বা পরিষেবার মূল্য নির্ধারণ করুন। পণ্যটি কিভাবে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেবেন, ক্যুরিয়র বা পোস্টে না কি ক্রেতাকে নিজে এসে সংগ্রহ করতে হবে তা ঠিক করুন। ঠিক করুন বিক্রয়মূল্য সংগ্রহের পদ্ধতি, পে-প্যাল, নগদ, চেক, ব্যাঙ্কে সরাসরি টাকা পাঠানো, আপনার এবং ক্রেতার দুজনের জন্যই সবথেকে বেশি সুবিধাজনক পদ্ধতিটি বেছে নিন।  ব্লগে একটি ল্যান্ডিং পাতা যোগ করুন, সেখানে আপনার তৈরি পণ্যের বিবরণ দিন, পণ্যটির ব্যবহার, উপযোগীতা সম্পর্কে বিশদে লিখুন, যোগ করুন কেনার বোতাম।  নিজের পাঠকের বাইরে অন্যদের মধ্যেও আপনার পণ্যের প্রচার করুন। ব্যবহার করুন সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং বা অ্যাডওয়ার্ডের মত মাধ্যমগুলি। আপনার পণ্য বিক্রি করুন ও তা থেকে আয় করুন। কত টাকা আয় করতে পারেন- এর কোনও উচ্চসীমা নেই। দাম, উত্পাদনমূল্য সবই যেহেতু আপনিই ঠিক করবেন তাই আয়ও আপনার হাতে, যত ভাল পণ্য, বিক্রিও তত বেশি, আর তা থেকে আয়ও। 

      ব্লগের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্স আপনি ব্লগিং করছেন মানে কোনও বিষয়ের ওপর নিশ্চয়ই আপনার কিছু জ্ঞান ও দক্ষতা রয়েছে। যেমন ধরুন আপনি ভাল কেক বানাতে পারেন, বা আঁকতে পারেন, ব্লগে আপনার এই দক্ষতার প্রচার করুন ও ফ্রিল্যান্স কাজ জোগার করে নিন। ধরুন এরকম কোনও দক্ষতাই আপনার নেই, তাহলেও শুধুমাত্র ব্লগিং সংক্রান্ত টিপস্ দিয়েই আয় করতে পারেন আপনি। দেখবেন অনেকেই টাকা দিয়ে আপনার পরামর্শ নিচ্ছে, যা এতদিন আপনি বিনামূল্যেই দিয়ে এসেছেন। কীভাবে কাজ করে- আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করে রোজগার করতে পারেন অথবা কাজ করতে পারেন নির্দিশ্ট প্রজেক্টে। ব্লগে কিভাবে এটি ব্যবহার করবেন- ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি কী কী কাজ করতে পারেন তা সংক্ষেপে লিখুন,লিখুন কেন একজন আপনাকে কাজ দেবে, অন্যদের থেকে আপনি কোথায় এগিয়ে, উল্লেখ করুন যোগাযোগের নম্বর ও টাকা। আপনার পাঠকদের জানান কী কী কাজ আপনি করতে চান, তাঁদের আগ্রহ তৈরি করুন, তাঁদের বলুন তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের আপনার দক্ষতার কথা জানাতে। তাঁরা যেহেতু ইতিমধ্যেই আপনার ব্লগ পড়েন ও আপনার দক্ষতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তাই তাঁরা সহজেই আগ্রহী হবেন।  ব্লগ ছাড়া অন্যান্য মাধ্যম যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, বিজ্ঞাপন ইত্যাদিতেও আপনার দক্ষতার কথা জানান। যত বেশি সংখ্যক লোক আপনার দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারবে কাজের সুযোগও ততই বাড়বে।  যখন কোনও প্রজেক্ট নেবেন, তা পেশাদারিত্বের সঙ্গে শেষ করুন। আপনার ব্লগ থেকে আয় করুন। কত টাকা আয় করতে পারেন- আয় নির্ভর করছে আপনার জ্ঞান ও দক্ষতার ওপর। এছাড়াও আপনার দক্ষতার চাহিদার ওপরও নির্ভর করছে আয়ের পরিমাণ। আপনি যদি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারেন এবং জটিল প্রজেক্টে কাজ করার উপযোগী হন তাহলেই বাড়বে আয়। বেশিরভাগ সময়ই ব্লগার নিজের কাজের জন্য কম মূল্য নির্ধারণ করেন, ফলে নিজের উপযুক্ত আয় করতে পারেন না। 

       ব্লগে সরাসরি বিজ্ঞাপন প্রকাশ ব্লগ থেকে টাকা রোজগারের খুবই চালু উপায় হল কোনও কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের বিজ্ঞাপন ব্লগে দেওয়া। এরফলে অ্যাডনেটওয়ার্ককে বাদ দিয়েই বিজ্ঞাপন দিতে পারছেন আপনি, বাড়ছে আয়। এছাড়াও আপনিই ঠিক করছেন কোন বিজ্ঞাপন দেবেন ও তার জন্য কতটাকা ধার্য্য করবেন, ফলে নিয়ন্ত্রণ থাকছে আপনার হাতে। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুবই ভাল কাজ করলেও অনেকক্ষেত্রে একেবারেই কার্যকরী হয়না। কীভাবে কাজ করে আপনি ব্লগে বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ করবেন, যখনই কেউ সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে আপনি টাকা পাবেন। অথবা মাসিক বা সাপ্তাহিক মূল্যও ধার্য্য করা যেতে পারে, যেখানে পাঠকের ক্লিক করার ওপর নির্ভর করবে না আয়। আপনার ব্লগে এটি ব্যবহার করবেন কীভাবে-  ব্লগের কোন জায়গায় বিজ্ঞাপনটি দিতে চান ঠিক করুন. হেডার, ফুটার, সাইডবার বা লেখার মধ্যে যেকোনও জায়গায় দিতে পারেন বিজ্ঞাপনটি। আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কী করতে হবে সেই বিবরণ দিয়ে একটি পাতা তৈরি করুন। সেখানে লিখুন আপনার পাঠক কারা, আপনি কী বিষয় লেখেন, এবং আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপনের মূল্য কত। ব্লগের বিভিন্ন জায়গার জন্য বিভিন্ন মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন, যেমন হেডারে হয়তো আপনি বেশি মূল্য ঠিক করলেন আর লেখার মধ্যে কম। আপনার যোগযোগ নম্বর বা ই-মেইল আইডিও উল্লেখ করুন।  মানিটাইজেশন নেটওয়ার্ক-এ নিজের ব্লগকে নথিভুক্ত করান। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনি অনেক বিজ্ঞাপনদাতার কাছে পৌঁছতে পারবেন। BuySell Ads এরকম একটি জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক।  ব্লগের যে জায়গায় আপনি বিজ্ঞাপন দিতে চান শেখানে বক্স করে লিখুন “এখানে বিজ্ঞাপন দিন”। এটি বিজ্ঞাপনদাতার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।  অনেক সময়ই বিজ্ঞাপনদাতা মূল্যের বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে স্থির করতে চায়, সেই সুযোগ রাখুন। মূল্যের বিষয় সহমতে এলে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করুন ও টাকা পান। কত আয় হতে পারে- আপনিই যেহেতু মূল্য নির্ধারণ করবেন তাই আপনার ওপরই নির্ভর করছে আয়ের পরিমাণ। তবে যত বেশি সংখ্যক পাঠক আয়ও ততই বেশি। বেশি আয় করবেন কী ভাবে- ব্লগের যে যে জায়গায় বিজ্ঞাপন দেবেন প্রতি জায়গাতেই “এখানে বিজ্ঞাপন দিন” লিখবেন না। কোনও কোনও জায়গায় কিছু নকল বিজ্ঞাপন দিন, এতে বিজ্ঞাপনদাতার আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দিতে উৎসাহী হবেন। এই পাঁচটিই হল ব্লগ থেকে আয়ের সবথেকে প্রচলিত উপায়। ব্লগ থেকে রোজগার করা যেমন কোনও রকেট সায়েন্স নয় তেমনই ছেলেখেলাও নয়। পণ্য বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এবং ব্লগের নিয়মিত পাঠক তৈরি করার জন্য পরিশ্রম করতে হবে, যত বেশি সংখ্যক নিয়মিত পাঠক তৈরি করতে পারবেন আয় ততই বাড়বে। প্রয়োজন ব্লগের প্রচার করাও। অনেক ব্লগারই খুব ভাল প্রবন্ধ লেখেন কিন্তু প্রচার করেন না, তাই তা তাদের ব্যক্তিগত ডায়েরির মতই রয়ে যায়। প্রচারের মাধ্যমেই একমাত্র সম্ভাব্য পাঠকের কাছে পৌঁছনো সম্ভব। তাই ব্লগের প্রচার করুন, যেকোনও একটি উপায় বেছে নিন আর আয় করুন ব্লগ থেকে।  

১২ নভে, ২০২০

জাবর কোল দী‌ঘি ও দী‌ঘির পাড়

জাবর‌কোল, উপ‌জেলা বা‌লিয়াকা‌ন্দি, জেলা রাজবা‌ড়ি, বাংলা‌দেশ
গ্রা‌মের ধান থে‌কে চাউল করা ঢে‌কির মত গজার মা‌ছের গল্প শু‌নে‌ছি দী‌ঘির।

Feartured Post

কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে।

  কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে।

জনপ্রিয় পোস্ট