৭ম শ্রেণির শিক্ষক সহায়িকা গাইড বই - ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ
- ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্কুলের সকল শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, #গল্প , #কবিতা # কালেকশন বাই মো: জালাল উদ্দিন, বি,এসসি,(গণিত, পদার্থ বিদ্যা,রসায়ন বিদ্যা), বি,এড।ব্যাংকার।
৭ম শ্রেণির শিক্ষক সহায়িকা গাইড বই - ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ
১৯৮৫ সনের ২৮ জুন বিয়ে করে বেরসিক।
তারিখ - ১২/০৯/২০২২
স্ত্রীর আগের কিছু স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে মনে পড়ে গেল ঃ-
১) বেরসিক তার অফিসের স্যার কে সাথে একটি দামী শাড়ী কিনেছিল স্ত্রীর জন্য। স্ত্রী সেটি ফেরত দিয়ে নিজের পছন্দের নিয়েছিল ১৯৯২ সালের দিকে।
২) একবার লাউ ছুড়ে ফেলেছিল পাকা বলে। অবশ্য পরে তা রান্না করে ছিল।
৩) আর একবার ঝগড়া করে মাছ ফেলে দিয়েছিল।
৪) আরও একবার কাচা সব্জি ভালো না বলে ছুড়ে ফেলেছিল। অবশ্য পরে তা রান্না করে ছিল।
৫) আর একটা ঘটনা বেরসিকের বাবা চাউল এনে দিয়েছিল বাজার থেকে। বলেছিল বাবা না আনলে চাউল ফেরত দিতাম ভালো নয়।
৬) বেরসিকের ছেলের বউ মরিচ ব্লেন্ড করে রেখেছিল। এবং একটু খারাপ হয়ে দেখাতে গিয়ে বেরসিকের গায়ে ছুড়ে মেরেছিল।
এভাবেই এখনো প্রতিদিন হাজার ও আপত্তির মধ্যেই চলছে দিন।
সময় পেলে আরও কিছু বলবে অন্যদিন।
২২/০৯/২০২২ তারিখ ঃ
বেরসিকের রোজগারের টাকা খরচ করার পর হিসাব হয় খুব কড়া ভাবে। বেরসিকের রোজগারের টাকা খরচ করার পর হিসাব হয় খুব কড়া ভাবে। স্ত্রী আগে হিসাব নিত ভাই-বোন কে দিয়ে দেয় কিনা বা আবার কোন বিয়ে করে ফেলে কিনা? এখন হিসাব ন্যায় এগুলোর সাথে ছোট ছেলে এর দোকান থেকে কিছু কিনে খাওয়ার অভ্যাস, ক্ষুধা লাগলে সহ্য করতে পারে না। আজ বাজার করেছে ৪৩০/ টাকা। হিসাব খাতায় লেখা হয়েছে এবং অবশিষ্ট টাকা মিলিয়ে রাখা হয়েছে।
তার এল পি আর ছুটি চলছে, ইচ্ছা মত ঘুরে ফিরে ছুটি ভোগ করা যাবে না।বোকাসোকা মানুষ কোথায় আবার ধরা খায় কে জানে। তাই সব সময় স্ত্রী চোখে-চোখে রাখছে।
তারিখ -২৮/০৯/২০২২ ঃ-
বেরসিকের কিছু আপত্তি স্ত্রীর প্রতি -
১) উপার্জনের অর্থ খরচ স্ত্রীর হাতে হবে কেন?
২) বাজার খরচের পর স্ত্রীকে হিসাব দিতে হবে কেন?
৩) প্রভিডেন্ট ফান্ড এর বিভিন্ন সময়ে উত্তোলনের অর্থ এর ৩০ বছরের হিসাব স্ত্রীকে দিতে হবে।
৪) চুল পেকেছে বলে ছোট ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া যাবে না।বান্ধবীরা ভাববেন সেও বুড়ী হয়েছে।
৫) বেরসিক একা ভাইদের বাড়িতে যেতে পারবেনা।
৬) স্ত্রীর বয়স বলা যাবে না।
৭) বেরসিক ছেলেদের লেখা পড়ার সময়ে জমি বিক্রি করেছে তা স্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া লিখে দেওয়া যাবেনা। যা বেরসিকের জন্য বেদনাদায়ক।
৮) মোঃ মন্তাজ ভাইয়ের নিকট ১১ শতাংশ, আঃ কুদ্দুসের নিকট ১১ শতাংশ, মোঃ আশ্রাফের নিকট ৩৭৫০০০/ টাকা দরে ১৫০০০০/ টাকা। এবং শুকুর আলী নিকট ২/৩ শতাংশ। জমি বিক্রি করা হয় ২০০৯/২০১০ সালে।
১৯৯৭ সালে পারিবারিক জমি বিক্রয় করে ২৫০০০/ টাকা নেওয়া হয়।যা ১২ শতাংশ জমির বিনিময়ে। কোনো ক্ষেত্রেই বাড়ির জমি বিক্রি করা হয় নাই। বড় ভাইয়ের মতামত অগ্রাধিকার দিতে হবে পরকালের দায়মুক্তির জন্য।
০৯/ ০৯/২০২২ তারিখ ঃঃ-
স্ত্রীর আদেশ মোবাইল টিপা এবং বই পড়া যাবে না মাত্রাতিরিক্ত।
১১/১০/২০২২ তারিখ ঃ-
সকালে বাজার শেষে হিসাব মিলছিল না। তার পর বেরসিকের স্ত্রী চোটে গেল, বলল চাকরি যে ভাবে গোজামিল দিয়ে করেছ এখন ত সেভাবে গোজা মিল দিবা। যাক সব হিসাব শেষে যখন মিলল তখন আর কিছু বলল না।
বিকেলে ছেলেকে বলেছিল, বাসায় এসে কোচিং-এ যেতে হবে। কিন্তু কোচিং থেকে ফোন করে ছেলে বললো বাসায় আসবে না।বেরসিক বলল, আচ্ছা তোমার মাকে বলবো। তিনি নামাজ শেষে একচোট নিলেন বেরসিকের উপর। বলল আমি ত যাওয়ার সময় বলে দিয়েছি বাসায় এসে যেতে হবে, তুমি কেন আসতে বললে না।তার পর কথা বন্ধ।বেরসিক কে বলল তোমার সাথে আর পারছি না। বেরসিকের স্ত্রী লেখা-পড়া কম হলেও কথার চোট অনেক বেশী। বেরসিক স্ত্রীর চেয়ে ৪/৫ ক্লাস বেশী পড়েছে।
স্ত্রী বলে ও সব শিক্ষিতদের ভেলু দেই না। সে অনেকটা অশিক্ষিত লিডারদেরমত। অথচ বেরসিক এই শিক্ষা নিয়ে ছত্রিশ বছর ভালো ভাবে চাকুরির মেয়াদ শেষ করেছে এবং স্ত্রী তার সুফল ভোগ করছে /করবে।
তারিখ- ১৮/১০/২০২২
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাতের ব্যথা অনুভব করায় মেঝছেলের উপর রাগ করে বলে আমার ভিসা এতো দেরি কেন? ছবি দিয়ে দাও আমার ভিসা আমিই করব।কারো লাগবে না।তারপর বেরসিক ভাত রান্নার সাদা চাউল ধুয়ে দিল। লাল চাউল ধুয়ে দিল না কেন সব ভাংচুর শুরু করে দিল।
তারিখ - ২১/১০/২০২২
ছেলে থাইল্যান্ড থেকে লাগেজ ব্ক্স নিয়ে আসে।তা মা পাওয়ার জন্য দাবী করে। কিন্তু স্ত্রী দিতে না চাওয়ায় মা অসন্তুষ্ট হয়ে আক্ষেপ করে।
তারিখ - ২৭/১০/২০২২
বেরসিক কে মুক্তভাবে একা কোথাও কাজে বা প্রয়োজনীয় কাজে যেতে দেওয়া হয় না।আজ স্ত্রির ভাগ্নীকে কম্বল দিতে যাওয়া দরকার কিন্তু স্ত্রী সাথে যাবেই। রাত হয়ে যাওয়ায় আর সফর বাতিল।আগামীকাল ছেলে বা বেরসিক যাবে কারণ আগামীকাল স্ত্রী দেশের বাড়ি যাবে। দেখা যাক কি হয়।
তারিখ -২২/১১/২০২২
বেরসিকের স্ত্রীর খামখেয়ালি মেজাজ, বলল দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাবে না এখন। ছেলের পরীক্ষার পর ইন্ডিয়া থেকে ঘুরে এসে রাকিবের কাছে যাবে। অথচ দাতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরী।
তারিখ - ০৫/১১/২০২২
বেরসিকের স্ত্রী তালিকা তৈরি করে সপিংমলে যাবে বলে বেরিয়ে গেল না।পথে মাছ ও ফল কিনে চলে এল বাসায়। এটা যদি বেরসিক করতো তাহলে তুলকালাম হয়ে যেতো। গতকাল বেরসিকের সাথে সকালে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। মুখে যা আসছে তাই বলে অস্থির করে ফেলেছে।
বেরসিক কে একা কোন কাজে যেতে দেয় না তার স্ত্রী।
তারিখ - ১০/১১/২০২২
আজ মাথায় শ্যাম্পু, ফ্যাস ওয়াশ না ব্যবহার করে শুধু সাবান ব্যবহার করায় স্ত্রী মাথায় মেহেদী দিয়ে দেয় নাই। ভাবুন কতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গেছে।
তারিখ -২৪/১১/২০২২
সবাইকে ক্ষমা করতে পারলে নিজে অনেক বেশি সুস্থ্য থাকা যাবে ইনশাআল্লাহ।
তারিখ -৬/১১/২০২২
সকালে বাজার থেকে পান সপারি আনার পর ভালো হয়নি বলে ছুড়ে মারল। তাই বেরসিকের মন খুব খারাপ হল। ভাবল আর বোধ হয় এক সাথে থাকা যাবে না।
সন্ধ্যায় বেরসিকের মাথায় মেহেদী লাগিয়ে দিল। তার মন একটুখানি হালকা হলেও সংশয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
তারিখ -17/12/2022
বেরসিক ছোট ছেলেকে পড়াচ্ছিল। বউ বল্লো, কি বাল পড়াচ্ছ - ও তো ভালো ভাবে পড়া পারে না।
তারিখ -০৮/০১/২০২৩
স্ত্রী বল্লো - আমার সাথে কড়াকড়ি ব্যবহার করবে সে ক্ষমতা কি আছে। আমি যত রাত পরযন্ত পারি, মায়ের কাছে বসে থাকব যখন ইচ্ছা বাসায় যাব আমার সাথে বেরসিক ও যাবে।
তখন থেকে বেরসিক চিন্তা করল - ঠিক আছে বসে থাকুক, সে (বেরসিক) বসে থাকবে না চলে যাবে ফোন করলে গিয়ে নিয়ে আসবেন।
তারিখ -৯/০২/২০২৩
দুদিন কথা বন্ধ।বেরসিক ডিম দিয়ে রুটি খায় নাই বলে স্ত্রী প্লেট ডিম সহ ছুড়ে ফেলেছেন মেঝেতে। অগত্যা বেরসিক খাবার নষ্ট হতে দেওয়া যায় না তাই কুড়িয়ে ধুয়ে খেয়ে নিল।আল্লাহই ন্যায় বিচারক। দেখা যাক আল্লাহ কি করেন।
তারিখ -১৩/০২/২০২৩
আজ স্ত্রী বদমাশ বলে গালি দিল এবং আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রাখল।
আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে বড় অপরাধী বলে মনে হলো। স্ত্রীর কথার জবাব দিলে না কেন? জবাব তো দেওয়া যায় বউয়ের কথার । জবাব দিলে কুরুক্ষেত্র হয়ে যেতো আবার না দেওয়াতে মন খুব খারাপ হল। তবুও আল্লাহর কাছে বিচারের ভার রইল।
তারিখ -20/02/2023
আজ বেরসিক ট্রেড মিল ২০+ মিনিট হেটেছে আর স্ত্রী ২৭+ মিনিট হেটেছে।
তারিখ -২৩/০২/২০২৩
স্ত্রীর বেইনসাফ এবং ক র্কশ ভাষার জন্য বেরসিকের বলতে ইচ্ছে করে তোমার আচরণের কারনে বিয়ের প্রথম দুই বছর নষ্টই হল।তখনকার কথা এখন মনে হচ্ছে যৌবনকাল যত অপমান কর বারবার ফিরে গেছি মান-সন্মানের কথা ভেবে।এখন নিজের ধৈর্যশক্তি কমেছে। তাই পারছি না।আমাকে মাফ করে দিও।কাছাকাছি থাকব তবে এক সাথে নয়।
২৪/০৫/২০২৩
বেরসিক মুরগী মাছ না এনে ডিম এনেছিল।তা-ই এক ডজন ডিম ১৪৫/টাকা গুড়িয়ে দিল স্ত্রী।
25/05/2923
ছেলের কাছে বেরসিকের পত্র:তোর আম্মু একলাই বের হয়ে গেছে। আমি অনেক চেষ্টা করলাম যে পরে এক সাথে যাব। বললাম বাসে দিয়ে আসি। এক পাও যেতে নিষেধ করল গেলে ঝামেলা হবে, বাসের নিচে হয়তো ঝাপ দিবে।আমার সাথে আর থাকবে না বলে গেল।৯:৫০ টার দিকে বের হয়েছে।
তারিখ ০৪/১১/২০২৪
সকালে খাবার সময় বলল,আর লাগবে, বললাম, না।বলল,আমাকে কিছু দাও।তুলে দিলাম।পরক্ষনেই ভাত আমার দিকে ছুড়ে মারল।রাগ করলাম। মন খারাপ হল।
০৫/১১/২০২৪
সবজি বাজার পছন্দ হয়নি, তাই বরবটি ছুড়ে ফেলে দিল।এমন ঘটনা নতুন নয়।এর আগে চিচিঙ্গা, লাউ,শাড়ি ইত্যাদি ছোড়াছুড়ি দেখার অভিজ্ঞতা আছে। তাছাড়া চোখ রাংগানি, কটুকথা অহরহ হয়ে থাকে।
08/11/2024
গায়ে জ্বর।সকালে খেজুর খেতে দিলাম ছুড়ে ফেলে দিল,কারণ আমার জানা নাই। জিজ্ঞেস করেছিলাম কিছু বলে নাই। অনেকটা জ্ঞানী পাগল মনে হয়।
23/11/2024
গতকাল বাইরে যাওয়ার সময় বলেছিল কিছু খাবার এন।কিন্তু কি খাবার আনব বলেনি।ফিরে জিজ্ঞেস করল, কি আনব? বল্লো বাদাম আনতে বলেছিলাম। বেরসিক শোনেনি। বলল, আর যাওয়া লাগবে না।সেই থেকে রাগ আর পড়ে নাই।ভোরে কুরআন পড়তে গিয়ে পুরাতন মোবাইল খুজতে গিয়ে দেখা গেল আগের দিন বেরসিক চারজে দেওয়ার পর আর মনে নাই।
প্রথম ড্রয়ারে খুজতে গিয়ে স্ত্রী ড্রয়ার ভাংলো, পরে মোবাইল ভাংচুর করে। এবং গালিগালাজ করে।এক বার বেরসিক কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দেয়।তাতে আরও রেগেমেগে বেশি বকাবকি করে। বেরসিক চুপ।
১৪/০১/২০২৫
বেরসিক অল্প বুদ্ধির ভীতু মানুষ। আল্লাহর দোযখ কে খুবই ভয় পায়।পারিবারিক কলহ ও অশান্তি কেও ভয় পায় তাই বেরসিকের স্ত্রীর হুমকি তে চুপ করে থাকে।স্ত্রী কোন কাজ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেই চিৎকারও চেচামেচি করে। স্ত্রী পরিবারের সব কিছুর সাথে সংযুক্ত থাকতে চায় এবং থাকে। বেরসিক কাউকে কষ্ট দিতে চায় না।তাই মাঝেমধ্যে ভাবে আল্লাহ বলেছেন, দুনিয়া অনেক বড় জায়গা। ভালো কাজ করার অসুবিধা হলে হিজরত করতে পার এবং ভালো কাজ করতে পার। ভাবি সংসার ছেড়ে যাব, গেলে স্ত্রী যাবে সে কেন যাবে।
স্ত্রী বলে কারো সম্পদে তার কোন লোভ নেই।কিন্তু সারা মাস ঝগড়া করলেও বেতন পাবার দুই একদিন আগে থেকে ঝগড়া বন্ধ করত।জমি কেনার পর অর্ধেক তার নামে দিতে হত।কোন এক কারণে একটা পুরো টাই দিতে হল।আবার যে গুলো কেনা হল তাও সম্ভবতঃ দিতে হবে।একবার বেরসিক বেতনের টাকা হারালে পরদিন টিফিন বক্স কেড়ে রেখেছিল।
১০/১৫ বছর বলেছিল ছেলেরা বড় হলে বেরসিকের সাথে আর থাকবে না,ইদানিং তা বলতে শোনা যায় না।বর্তমানে ছোট ছেলের বিজ্ঞান বিভাগে পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে।
1. Am I in wrong way when I follow my wife's advice by mental pressure?
প্রশ্ন ঃ- ছোট ছেলে ২০২৩ সাল হতে কোথায় পড়াশোনা করবে?
সমস্যা ঃ-
১। করনার কারণে গত দু বছর স্কুলে পড়াশোনা না হওয়ায় পিছিয়ে পড়েছে ক্লাসে। আগামী পরীক্ষায় ভালো করতে পারবে কিনা?
২। বাবা চাকুরী হতে অবসরে গেছেন।ঢাকায় থাকতে ভালো লাগছে না।
৩।মা আগের মতো স্কুলে /কোচিং এ সাথে যায়না।
৪।বাবাও সাথে যায় না।
৫।বড় ছেলের কাছে থেকে পড়ার অনেক সমস্যা।
৬। মেঝো ছেলে/ছেলের বউ চাকুরী করে সময় দিতে পারে না।
৭। উপজেলার স্কুলে পড়াশোনা হবে কি-না।
৮। গ্রামের বাড়িতে ঘর তালা দেওয়া থাকে।
৯।গ্রামের এলাকায় বখাটে ছেলেদের উৎপাত বেড়েছে।
সমাধান ঃ-
১। জেলা স্কুলে ভর্তি করার চেষ্টা করা যেতে পারে। তাও আবার বাসা নিতে হবে।
২। উপজেলায় ভর্তি করে এক্সট্রা কেয়ার নেয়া যেতে পারে।
স্ত্রীর আগের কিছু স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে মনে পড়ে গেল ঃ-
১) বেরসিক তার অফিসের স্যার কে সাথে একটি দামী শাড়ী কিনেছিল স্ত্রীর জন্য। স্ত্রী সেটি ফেরত দিয়ে নিজের পছন্দের নিয়েছিল ১৯৯২ সালের দিকে।
২) একবার লাউ ছুড়ে ফেলেছিল পাকা বলে। অবশ্য পরে তা রান্না করে ছিল।
৩) আর একবার ঝগড়া করে মাছ ফেলে দিয়েছিল।
৪) আরও একবার কাচা সব্জি ভালো না বলে ছুড়ে ফেলেছিল। অবশ্য পরে তা রান্না করে ছিল।
৫) আর একটা ঘটনা বেরসিকের বাবা চাউল এনে দিয়েছিল বাজার থেকে। বলেছিল বাবা না আনলে চাউল ফেরত দিতাম ভালো নয়।
৬) বেরসিকের ছেলের বউ মরিচ ব্লেন্ড করে রেখেছিল। এবং একটু খারাপ হয়ে দেখাতে গিয়ে বেরসিকের গায়ে ছুড়ে মেরেছিল।
এভাবেই এখনো প্রতিদিন হাজার ও আপত্তির মধ্যেই চলছে দিন।
সময় পেলে আরও কিছু বলবে অন্যদিন।
আগের পরবে সে বলেছিল, বাসা থেকে পালাবে।কিন্তু হঠাৎ একদিন দেখল স্ত্রী ইউটিউবে ওয়াজ শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে আছে। হুজুর বলছেন, একজন সুনাম অর্জনকারী আলেমের কাছে তার এক ভক্ত বলছে কেবল ধৈয্য ধরার কথা বলেন, আর ত পারছি না।স্ত্রীর বকাবকি আর কত সইব। হুজুর বলেন, একটা চেষ্টা করেন সংসার ঠিক রাখা যায় কিনা।
প্রতি দিন বাসায় ঢুকার আগে দরজায় দাঁড়িয়ে চিন্তা করবেন বাসায় একটা কুকুর আছে ওতো ঘেউঘেউ করবে। মনে মনে ভাববেন কুকুরের সভাব, আর মনে মনে হাসবেন।
ঠিক তা-ই আজ আর কোন উত্তর না দিয়ে হাসছেন। স্ত্রী ভাবল ব্যাপার কি? আজ কিছু বলছে না কেন আবার খালি হাসছ। স্ত্রী ধরলো কি হলো কিছু বলছ না যে? এবার লোকটা হুজুরের উপদেশের কথা শুনিয়ে দিল।এরপর স্ত্রী ও আর বেশি বলতেন না।
উপদেশ টি পুরুষ এর বেলায় যেমন দরকারি, স্ত্রী লোকের বেলায় ও তেমনই দরকারী।
৬/০৬/২০২২ হতে সময় যেন আর কাটছে না। স্ত্রী সব সময় ভুল (ভুল বলতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা অপছন্দ কোন কাজ) খোঁজে এবং কড়াকড়ি ভাবে কথা বলে। এটা তার দোষ নয়। বংশের স্টাইল। এরা সহজ ভাবে কথা বলতে পারে না।তাই ভুল ধরে তার কড়া জবাব দেয়। আমার এ বয়সে তা সইছে না।তাই মাঝেমধ্যে ভাবি এক সাথে শেষ পরিনতি পরযন্ত থাকতে পারব কি?
মনের অবস্থা ভালো নেই। এখন ই পালাতে চাইছে মন।অবশ্য স্ত্রী অনেক বার বলেছে আমি আর তোমার সাথে থাকব না। সম্ভবত শতবার এ কথা বলেছে। আর এখন আমার ই মন এ কথা বলছে।
চলবে--
কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে।