২ মার্চ, ২০২২

বেরসিকের বাল্যকাল, শিক্ষা ও বর্তমান

 


 শিশুকাল Childhood ঃ 

গ্রামের সবুজ  ঘন বনে ঘেরা ছোট কুটিরে কোন এক সোমবারে (মায়ের মুখ থেকে শুনা)  জন্ম বেরসিকের।সম্ভবতঃ ১৯৬৩ সন।বয়স যখন ৪/৫ বছর ভর্তি করা হল মাদ্রাসায়  ইসলামী শিক্ষার সাথে বাল্য শিক্ষা।  দাদা ও বাবা প্রথম


শ্রেণীতে পড়া কালিন একদিন পর পর কলেরায় মারা যান। মা এবং দু'বছরের বড়ো ভাই এ-র তদারকিতে সংসার চলতে থাকে ,সংসারে সদস্য পাঁচ ভাই দুবোন । তিন মাস পরে ছোট ভাই মারা যায়। ১৯৭৩ সনে বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। আল্লাহ সে সময় তাদের সহায় হন।

পরিচয় :-

দাদা মিয়া ইদ্রিস আলী নোয়াখালীর বরতমান লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মিয়া জান মুন্সি একজন আলেম ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পাল্কিতে বেড়াতেন এবং ছোটো খাট আকার মানুষ ছিলেন। তার ভাতিজা বসু মিয়া চাচার বদোউলতে তার কবর দেখার সোউভাগ্য হয়েছিল।

দাদা দাদী পাগল হওয়ায় ১৯৪৮ সনের রায়টের পর তার ছোট মেয়েকে সুবর্নের চর পালক দিয়ে ছেলে হাফিজুর রহমান ও আব্দুর রব এবং মেয়ে হাজেরা কে নিয়ে ফরিদপুর এর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির মেছুয়াঘাটা গ্রামে যা দক্ষিণ বাড়ি মৌ জায় বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। 

বেরসিকের চার ভাই দুই বোন ছিল। 


স্কুল জীবন (School Life) : 

বাড়ী থেকে দুই কিলোমিটার দুরে প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে পড়াশুনা। প্রতিবারের মতো এবারও শ্রেনীতে প্রথম ও ৫ম শ্রেনীর বৃত্তি পেল। পায়ে জুতা ছাড়াই চলল ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত।  এবার ও বৃত্তি পেল। অবদান মা, বড়ো ভাই এবং শিক্ষক গণের। বেরসিক অনেকটা বোকা ও ছিল।
এস এস সি পরীক্ষার সময় কোন এক পীর সাহেব আসলেন স্কুলের সবাইকে বলা হল হুজুরকে ছালাম কর। বেরসিক ও করল। তার প্রিয় কাশেম স্যার ছিলেন এ কাজের ভূমিকায়। যা হোক পরীক্ষা হয়ে গেল। রেজাল্ট প্রথম বিভাগ।


কলেজ জীবন(College Life):


 তার এটা একটু কষ্টের জীবন ছিল।
১৯৭৯ সনে  এসএসসি পাশ করার পরে রাজবাড়ী সরকারী কলেজে ভর্তি হল। আত্নীয় বাড়ি, হোস্টেল এবং লজিং(সূর্যনগর)  থেকে ক্লাস করার ৪ মাস পরে বুঝল ভাবে পড়াশুনা সম্ভব নয়। বালিয়াকান্দি কলেজের অফার ফ্রি থাকা খাওয়া সহ লেখাপড়া করা যাবে।যে কথা কথা সেই কাজ বালিয়াকান্দি কলেজে পুনরায় ভর্তি। ক্লাস চলতে থাকল  ৭ কিলোমিটার পায়ে হেটে বা বাইসাইকেলে। তার পরে একটি লজিং যা তিন মাস থাকা সম্ভব হয়েছিল।

৭ কিলোমিটার হেঁটে, বাইসাইকেলে, পেয়িং গেস্ট থেকে অনেক কষ্টে  এইস এস সি  পরীক্ষা হয়ে গেল। ফলাফল দ্বিতীয় বিভাগ। এ্ই ফলাফলে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিল কিরন চৌধুরী। তবে কিরনের বোন মুসলিম হলেও কিরন অমুসলিম অবস্থায় মারা যাওয়ায় বেরসিকের মাঝে মাঝে  মন খারাপ হয়ে যায়।
এর পর অনার্সে ভর্তি কাহিনী আরও মজার তা লিখব অন্য দিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে দুইবার ফোন করেছিল পরিচিত একজনকে। ফলাফল জানায়নি। 

 পাংশা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে  :-   পাংশা  বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে   বি-এসসি ও ঢাকা টিটি কলেজ হতে বি-এড করে শিক্ষকতা করতে থাকে। হাড়ীভাংগা বিদ্যালয়, হুরুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,পাংশা বাহাদুরপুর উচ্চ বিদ্যালয় এ  চাকুরির পর  সরকারী অগ্রনী ব্যাংকে  চাকুরী হওয়ায় যোগ দেয় চাকুরীতে। আশা চাকুরী শেষে অবসর ভাতা পাওয়া যাবে।এখন পেনশনের জন্য টেনশন হল কোন হারে পাবে। সরকার মহা বিপদে। একবার বলছে, পুরো পাওনা একবারে, কখনো বলছে অর্ধেক নগদ অর্ধেক কিস্তিতে আবার কখনো বলছে পুরোটাই কিস্তিতে দিবে।বেরসিক এখন সেনাবাহিনীর পেনশন নিয়ে ব্যস্ত।

চলবে-

কোন মন্তব্য নেই:

Feartured Post

কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে।

  কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে।

জনপ্রিয় পোস্ট