অনেকের - ই ধারনা নেই ,!!!
তাই আসুন কোন চাকরিতে কত পার্সেন্ট কোটা
তা জেনে নেওয়া যাক- !!!
বিসিএসে কোটার বিন্যাসঃ
----------------------------------
মুক্তিযোদ্ধার কোটাঃ ৩০%
নারী কোটাঃ ১০%
জেলা কোটাঃ ১০%
উপজাতি কোটা ৫%
প্রতিবন্ধি কোটা ১%
-----------------------------
মোটঃ ৫৬% কোটা।
বিসিএসে ৫৬% কোটা মানে
প্রতি ১০০টি ক্যাডার পোস্টে
সাধারণ মেধাবীদের থেকে
চাকরি পায় ১০০-৫৬=৪৪ জন।
১ম ও ২য় শ্রেণী নন ক্যাডার
জবে কোটার বিন্যাসঃ
----------------------
মুক্তিযোদ্ধার কোটাঃ ৩০%
নারী কোটাঃ ১৫%
জেলা কোটাঃ ১০%
উপজাতি কোটা ৫%
প্রতিবন্ধি কোটা ১%
-----------------------------
মোটঃ ৬১% কোটা
এখানে কোটাবিহীন সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা পায়
১০০-৬১=৩৯ টি পদ।
** ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জবে কোটা ৭০% মাত্র
** রেলওয়েতে কোটা ৮২% মাত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটার বিন্যাসঃ
-----------------------------
নারী কোটা ৬০%, now 0%
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০%, now 5%
পোষ্য কোটা ৫%, ০%
অনগ্রসর জাতি now ১%
প্রতিবন্ধি কোটা ১%, now 1%
------------------------
মোটঃ ৯৬% কোটা,
এখানে ১০০টি পোস্ট থেকে সাধারণ মেধাবীরা চাকরি পায় মাত্র ৪টি পদে!
(তথ্যে যদি কোন ভুল থাকে
সংশোধন করে দেবেন প্লিজ)
চাকুরী কোটা সংস্কার ক্লিক করুন।
নতুনভাবে কোটা সংস্কার :-
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৬% কোটা বিদ্যমান ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই মেধাকে গুরুত্ব না দিয়ে কোটা ব্যবস্থায় নিয়োগ চলছিল। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ৮০% পর্যন্ত কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ চলতো। কোটা ব্যবস্থা এক রকম ৭% এ নামিয়ে এনে সরকারি এখন মেধাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে- নতুন কোটা প্রজ্ঞাপন জারি ২০২৪
কোটা মূলত কি? কোটা মূলত অনগ্রসর গোষ্ঠিকে এগিয়ে নেয়ার একটি মাধ্যম চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা রাখায় যাতে অনগ্রসর জনগোষ্ঠি তাদের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে না থাকে। এজন্য জেলা কোটা, নারী কোটা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু ছিল এবং এ কোটা ব্যবস্থা আন্দোলন সংগ্রামে তরুনদের জীবনের বিনিময়ে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে সরকার। কোর্টের রায়ের আলোকে কোটা ব্যবস্থাকে ৫৬% হতে কমিয়ে এখন ৭% এ আনা হয়েছে।
নতুন প্রজ্ঞাপনে কোটা ব্যবস্থা কেমন? সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সহ কর্পোরেশনগুলোতেও সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯-২০ গ্রেডের সকল নিয়োগে ৭% কোটা অনুসরণ করা হবে এবং অবশিষ্টাংশ ৯৩% মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। ৭% কোটার মধ্যে ৫% মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে এবং ১% প্রতিবন্ধী ও ৩য় লিঙ্গের মানুষদের জন্য এবং ১% ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য রাখা হয়েছে। এখানে নারী কোটা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য কোন কোটা রাখা হয়নি। নতুন কোটার প্রজ্ঞাপনের অনতিবিলম্বে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ চলতি মাসের ২৩ তারিখ হতে কার্যকর হবে। এখন কোটা সংক্রান্ত পূর্বের সকল আদেশ /পরিপত্র বা যে কোন আইন বাতিল বলে গন্য হবে।
চলমান নিয়োগগুলো কি নতুন পরিপত্র মোতাবেক হবে? না। যেহেতু নতুন আইন চলতি মাস হতে কার্যকর হয়েছে তাই পূর্বের চলমান নিয়োগ পূর্বের কোটা পদ্ধতি অনুসারেই চলবে। সার্কুলারে উল্লেখিত শতার্বলী অনুসারে চলমান বা পূর্বের নিয়োগ গুলো কার্যকর হবে। নতুন আইন নতুন সার্কুলার বা সরাসরি নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে কার্যকর হইবে। যে সকল নিয়োগের রেজাল্ট হয়নি সেগুলোও পূর্বের নিয়োগ বিধি এবং কোটা বিধি অনুসানেই কার্যকর হবে।
কোটা নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি ২০২৪ । চলতি মাসের ২৩ তারিখ হতেই নতুন কোটা পদ্ধতি চালু হবে
নতুন কোটার প্রজ্ঞাপন ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। কোটা ব্যবস্থার কার্যকর হওয়া জরুরী ছিল যা রক্তাক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে।
শিক্ষার হার যত বেশি সেই জেলায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ বেশি পাবে। জেলা কোটা বাতিল হওয়ার ফলে পিছিয়ে থাকা জেলা হতে কম লোক নিয়োগ পাবে। সরকার চাইলে জেলা কোটা বা নারী কোটা যোগ করতে পারে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরিবর্তন বা সংস্কার আনতে পারে। এটি যেহেতু পলিসি নির্ধারণীর বিষয় তাই এটি পক্ষে বা বিপক্ষে কোন আইন প্রয়োগ করা যাবে না।
মেধা | মুক্তিযোদ্ধার সন্তান | মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনী | নারী কোটা | জেলা কোটা | ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী | আনসার কোটা ও অন্যান্য | পোষ্য কোটা | প্রতিবন্ধী ও হিজড়া |
৯৩% | ৫% | ০% | ০% | ০% | ১% | ০% | ০% | ১% |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন